তৃণমূল কংগ্রেস নেতাদের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হলে তবেই কলেজে অ্যাডমিশন মেলে। এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন বঙ্গ বিজেপির সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। আরজি করের মতো রাজ্যের একাধিক মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে ‘থ্রেট কালচার’ চলার যে অভিযোগ উঠেছে, সেই আবহেই সুকান্ত অভিযোগ করেন যে বিভিন্ন কলেজে ‘ভরতি চক্র’ চলছে। রাজ্যে এখন একটাই নীতি চলছে, সেটা হল ‘ফেলো কড়ি, মাখো তেল’। সেইসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ শানিয়ে সুকান্ত অভিযোগ করেন, মুখ্যমন্ত্রী পুরো পশ্চিমবঙ্গকে বাজারে পরিণত করেছেন। অনার্স নিয়ে কলেজে ভরতি হওয়ার জন্য বাজারে গিয়ে নᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚিজেকে বিক্রি করতে হয় বলে দাবি করেছেন বঙ্গ বিজেপির সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী।
‘অ্যাডমিশনের লোভ দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন…’
সুকান্তের কথায়, ‘কলেজে শুধু থ্রেট কালচার নয়, ভরতি চক্র চলে। আপনি তৃণমূল নেতাদের পয়সা দিন .....। অনেক ক্ষেত্রে.....বলতে খারাপ লাগছে। বেশ কিছু জায়গায় আমরা দেখেছি....মেয়েদের সঙ্গে....বিশেষ শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের লোভ দিয়ে তাঁদের দ🔥েওয়া হয়। মানে অ্যাডমিশনের 🌱লোভ দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করার মতো, শ্লীলতাহানি করার মতো ঘটনা পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন কলেজে ঘটছে।’
‘পশ্চিমবঙ্গকে বাজারে পরিণত করেছেন মমতা’
তিনি বলেন, ‘মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুরো পশ্চিমবঙ্গকে বাজার অর্থনীতির ….. পুরো বাজারে পরিণত করে রেখেছেন। আপনি ফিজিক্স অনার্স চান, আপনাকে বাজারে গিয়ে বিক্রি হতে হবে। আপনি জিয়োগ্রাফিতে অনার্স চান বা হিস্ট্রিতে অনার্স চান, আপনাদের তৃণমূল⛦ নেতাদের সামনে গিয়ে বিক্রি হতে হবে। বাজারটা মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী খুব ভালো বোঝেন। সেজন্য উনি গোটা রাজ্যটাকে বাজারে ......। ফেলো কড়ি, মাখো তেল। অন্য কোনও পলিꦑসি নেই। পয়সা দিন, সমস্ত সুযোগ-সুবিধা নিন।’
যদিও তিনি নিজে কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রকের (শিক্ষা রাজ্য ও কেন্দ্রের যৌথ তালিকায় আছে) রাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে সেই ‘চক্র’-কে দমন করতে কী পদক্ষেপ করছেন, কোনও পদক্ষেপের পরিকল্পনা আছে কিনা, তা খোলসা করꦑে বলেননি সুকান্ত। তাছাড়া ‘বেশ কিছু জায়গা’ বলতে ঠিক কোন কোন জায়গায় এরকম ‘ভরতি চক্র’ চলে বলে দাবি করেছেন, সে বিষয়েও কিছু জানাননি বঙ্গ বিজেপির সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী।
মুখের কথায় GST নেই তো, পালটা তৃণমূলের
পালটা তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ দাবি করেছেন, এখন একটা জটিল পরিস্থিতি আছে রাজ্যে। আর সেই সুযোগে যাঁর যা ইচ্ছা, সেটা বলে যাচ্ছেন। মুখের কথায় তো জিএসটি নেই। তাই যা ইচ্ছা হচ্ছে, সেটাই বলে যাচ্ছেন সুকান্ত। সেইসঙ্গে বিজেপি-শাসিত রাজ্যে কী ঘটনা 𝄹ঘটছে, সেদিকে নজর দিতে বলেন কুণাল।