প্রায় ৬ মাস হয়ে গিয়েছে সরকারি ܫঅকেজো বাসগুলি মেরামতের কাজ হচ্ছে না। কারণ টাকার অভাব রয়েছে বলে খবর। শুধু ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশনের অধীনে থাকা কয়েকশো বাস নানান ডিপোতে অকেজো হয়ে পড়ে রয়েছে। শহরের এই ডিপোগুলিতে ঢুঁ মারলেই এই ছবি দেখা যাবে। কিন্তু সামনেই দুর্গাপুজো। সেখানে এমন পরিস্থিতি হলে স্পেশাল বাস সার্ভিস দেওয়া কার্যত চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে। এই অবস্থায় বাসগুলি মেরামত না করলে দুর্গাপুজোর সময় মানুষকে চাপের মুখে পড়তে হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
বিষয়টি ঠিক কী ঘটেছে? সরকারি বাসগুলি ড💛িপোর কাছের পেট্রল পাম্প থেকে তেল কেনে। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে তেলের দাম বকেয়া পড়ে রয়েছে। তাও আবার কয়েক কোটি টাকা বলে সূত্রের খবর। বকেয়া থাকায় তেল নেওয়া এখন অনিয়মিত করে দিয়েছে সংস্থাগুলি। তাই রাস্তায় সরকারি বাসের দেখা মেলা কঠিন হয়ে পড়ছে। তার উপর মেরামতির কাজ সঠিকভাবে হচ্ছে না বলে অভিযোগ। সুতরাং এমন পরিস্থিতির পরিবর্তন না হলে দুর্গাপুজোর সময় শহরের রাস্তায় নাকাল হতে হবে যাত্রীদের বলে মনে করা হচ্ছে।
কেমন সমস্যা হতে পারে? এদিকে দুর্গাপুজোয় ঠাকুর দেখতে জেলা থেকে শহরে আসেন বহু মানুষজন। তাঁরা এখনও সরকারি বাসের উপরই ভরসা রাখেন। হাওড়া–শিয়ালদা ফিরতে সরকারি বাসের উপর নির্ভর করেন। কিন্তু মেরামত না হয়ে বাস অকেজো হয়ে পড়ে থাকলে সরকারি বাস পাওয়া নিয়ে সংশয় দেখা দেবে। যদিও সূত্রের খবর, আগামী সপ্তাহের মধ্যেই কিছু টাকা ছাড়বে নবান্ন। 😼সেটা দিয়ে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় মেরামত করিয়ে বেশকিছু বাসকে রাস্তায় নামানো হবে। এসি বাসের অবস্থা আরও খারাপ। রক্ষণাবেক্ষণ ঠিকভাবে না হওয়ায় বেশিরভাগ এসি বাস ডিপোতেই পড়ে রয়েছে। এবার তা সারিয়ে তোলা হবে বলে খবর।
আরও পড়ুন: রবীন্দ্র সরোবরে মাছের মর🌠ক! বিপুল পরিমাণ মরা মাছ ভেসে উঠতেই ছড়িয়েছে 🙈আলোড়ন
আর কী জানা যাচ্ছে? অন্যদিকে বেশ কয়েকটি অকেজো বাসের যন্ত্রাংশ চুরি গিয়েছে বলে অভিযোগ। ডি🍨পোগুলি থেকে এভাবে চুরি হয়ে যাওয়ার ঘটনা নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। নিরাপত্তারক্ষী থাকার পর এমন ঘটনা কেমন করে ঘটছে তা নিয়ে সন্দেহ দানা বেঁধেছে। সূত্রের খবর, এই চুরির কাজ আসলে ভবঘুরের দলের। এই সার্বিক পরিস্থিতির ঘটনা নিয়ে পরিবহণ কর্তাদের বাড়তি টেনশন তৈরি হয়েছে। চুরি ঠেকাতে ডিপোগুলিতে টহলদারি বাড়ানো হয়েꦯছে। এমনকী ডিপোগুলি সিসিটিভি দিয়ে মুড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।