রাজ্য–রাজ্যপাল সংঘাত লেগেই রয়েছে। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস যে আর জেন্টলম্যান নেই সেটা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। রাজ্যপালও একাধিক সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন রাজ্যকে অন্ধকারে রেখে এমন অভিযোগও উঠেছে। এই আবহে তিনি রাজভবনে খোলেন অ্যান্টি কোরাপশন সেল। তা নিয়ে সংঘাত বেড়েছে। নবান্ন থেকে সরাসরি মুখ্🥂যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তুলনা করেছেন জগদীপ ধনখড় ও সিভি আনন্দ বোসের মধ্যে। তাতেই স্পষ্ট হয়েছে সিভি আনন্দ বোস আর জেন্টলম্যান নেই। তাই রাজ্যপালের বিরুদ্ধে এবার সুপ্রিম কোর্টে গেল রাজ্য সরকার।
এদিকে রাজভবনের অ্যান্টি কোরাপশন সেলে একাধিক অভিযোগ জমা পড়েছে। বেসরকারি কলেজ নিয়ে বেশ কিছু অভিযোগ জমা পড়েছে রাজভবনের অ্যান্টি কোরাপশন সেলে বলে দাবি করেছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। যাবতীয় অভিযোগের প্রেক্ষিতে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। বিষয়টিকে কেন্দ্র করে তরজা শুরু হয়েছে। এই আবহে রাজ্যপালের এক্তিয়ার বহির্ভূত সমস্ত কাজ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বꦯারস্থ হল রাজ্য সরকার। আর তাতেই এখন রাজ্য–রাজনীতি সরগরম হয়ে উঠেছে। আগে কলকাতা হাইকোর্টে করা মামলায় রাজ্যপালের পক্ষে বেশ কিছু রায় গিয়েছে। কিন্তু এবার তা নাও হতে পারে।
অন্যদিকে শিক্ষা দফতরকে না জানিয়ে রাজ্যপালের সমান্তরাল প্রশাসন চালানো নিয়ে আগেই ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। এমনকী যাবতীয় বিষয়গুলি নিয়ে সর্বোচ্চ আদালতে যাওয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছিলেন। এবার সেটা করে দেখানো হল। রাজ্য সরকার এবং র෴াজ্যপালের সংঘাত তাতেই আবার নতুন মাত্রা পেল। রাজ্যপাল এক্তিয়ার বহির্ভূত কাজের অভিযোগ তুলে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হল রাজ্য সরকার। সুপ্রিম কোর্টে রাজ্যের করা আবেদন গৃহীত হয়েছে। সুতরাং বিষয়টি নিয়ে এখন জোর চর্চা শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন: আগরতলা থেকে চট্টগ্রাম বিমান পরিষেবার কাজ শুরু, দেখে এলেন ত্রিপুরার মুখ্য🐼মন্ত্রী
আর কী 💦জানা যাচ্ছে? রাজ্যকে না জানিয়ে উপাচার্য নিয়োগ থেকে শুরু করে নানা বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ এবং বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উপাচার্যদের সরানোর কাজ করেছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। শিক্ষায় দুর্নীতি ঠেকাতে রাজভবনে খুলেছেন অ্যান্টি কোরাপশন সেল। এটা রাজ্যপাল পারেন কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী। গতকাল শুক্রবার রাতে রাজ্যপালকে ব্যঙ্গ করে একটি টুইট করেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। যদিও সেই টুইটে রাজ্যপালের নাম উল্লেখ করেননি তিনি। তবে ব্যঙ্গ করে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী তাঁকে ‘ভাজপাচার্য’ বলে কটাক্ষ করেছেন। যা নিয়ে অনেকেই এখন মশকরা করছেন।