এখন রাজ্যের একাধিক দুর্নীতির তদন্ত করছে সিবিআই–ইডি। তার মধ্যেই রাজভবনে𝐆 ‘অ্যান্টি করাপশন সেল’ খুলেছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। রাজ্যের কোথাও কোনও দুর্নীতি হলে ওই সেলে অভিযোগ জানানোর জন্য রাজ্যবাসীকে আবেদন জানান রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। ইতিমধ্যেই বাংলায় একবছর পূর্ণ হল রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের। এবার রাজ্য সরকারের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ব্যাখ্যা করতে গিয়ে জানান, রাজভবন আর নবান্নের সম্পর্ক বাইরে থেকে দেখতে যেমন আসলে তেমন নয়। আসলে ততটা সংঘাত নেই, যতটা বলা হয়🎃।
এদিকে গোটা একবছর নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। আজ, মঙ্গলবার রাজভবনে সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্যপাল বলেন, ‘আমি বলছি না গত একবছরে রাজ্যে যা যা ঘটনা ঘটেছে তার পিছনে প্রশাসন বা রাজ্য সরকার সরাসরি জড়িত আছে। আমার লক্ষ্য হিংসা ও দুর্নীতি বন্ধ করা। তাই আবারও রাজ্যবা🎀সীর কাছে আবেদন, ঘুষ নেবেন না, ঘুষ দেবেন না। আর রাজভবনের সঙ্গে রাজ্য সরকারের যে ধরনের সংঘাতের কথা বলা হয়, তেমন সংঘাত আদতে নেই। মুখ্যমন্ত্রী–রাজ্যপালের মধ্যে সম্পর্কের কয়েকটি স্তর থাকে। মানুষের চাহিদা মেটাবেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যপাল সেই বিষয়টা সাংবিধানিকভাবে দেܫখবেন। উভয়কেই আইন মেনে চলতে হবে। তবে পরস্পরের প্রতি সম্মান থাকলে কাজ ভাল হয়।’
অন্যদিকে ‘মিল উইথ গভর্নর’ কর্মসূচি আনছেন রাজ্যপাল। যেখানে সাধারণ মানুষের সঙ্গে রা🌱জ্যপাল মধ্যাহ্নভোজ করবেন সপ্তাহে একদিন। প্রতি সপ্তাহে রাজভবনে সেটি হবে। এখন রাজ্যের একাধিক নেতা–মন্ত্রী দুর্নীতির অভিযোগে জেলে গিয়েছেন। আবার জয়নগর থেকে আমডাঙা—একের পর এক খুন, জখম, হিংসা ছড়িয়ে পড়েছে। আর এটারই বিরুদ্ধে রাজ্যপাল। সেখানে এই সাংবাদিক বৈঠক রাজ্য সরকারকে বার্তা দেওয়া এবং নিজের মতামত ব্যক্ত করার জন্য তাৎপর্যপূর্ণ। তবে রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে সোমবারই সুপ্রিম কোর্টের প্রশ্নের মুখে পড়েছেন রাজ্যপালের আইনজীবী। নজর ঘোরাতেই তাই আজকের সাংবাদিক বৈঠক কি না তা নিয়েও গুঞ্জন শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন: লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা ভ্যানিশ, বড়𝓀 প্রতারণার শিকার হচ্ছ🌠েন বাড়ির মেয়ে–বধূরা
আর কী জানা যাচ্ছে? বাংলার ও বাংলার মানুষের প্রশংসা করেছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। তাই তাঁর কথায়, ‘বাংলা আমার কর্মভূমি। রাজ্যপাল হিসাবে যে দায়িত্ব আমার কাঁধে আছে সেটা গত একবছরে পালন করার চেষ্টা আমি করছি। সংবিধান রক্ষা করা এবং মানুষের উপকার করা, আমার দু’টি কাজ। আমি তা হৃদয় দিয়ে করেছি। হিংসা বা দুর্নীতি সরকার করেছে সেটা বলছি না। আমি মনে করি হিংসা বা দুর্নীতি হলে সরকার ব্যবস্থা নেবে। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে রাজ্যপালের𓆉 মতপার্থক্য হতে পারে। কিন্তু দু’জনকেই মানুষের কথা ভাবতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত এবং রাজ্যপাল মনোনীত। তাই দু’পক্ষকেই পরষ্পরের জায়গা বুঝে কাজ করতে হবে।’