বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর অভিযোগ ছিল রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের প্রধান সচিব নন্দিনী চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে। এবার রাতের অন্ধকারে তাঁকেই সরিয়ে দিলেন রাজভবনের বাসিন্দা। বিজেপি নেতাদের চাপের কাছেই কি এমন সিদ্ধান্ত নিতে হল? এই প্রশ্ন এখন উঠতে শুরু করেছে রাজ্য–রাজনীতিতে।ꦜ কারণ দু’দিন আগে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের সঙ্গে রাজ্যপালের বৈঠকের পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সক্রিয় পদক্ষেপ করতে হবে বলে কড়া বিবৃতি প্রকাশ করেছিলেন তিনি। তার ঠিক একদিন পরেই বড়লাট সরিয়ে দꦬিলেন প্রধান সচিবকে বলে সূত্রের খবর।
বিষয়টি ঠিক কী ঘটেছে? রাজভবন সূত্রে খবꦛর, আজ, সোমবার নয়াদিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে সিভি আনন্দ বোসের। ঠিক তার আগের রাতেই নন্দিনীকে সরিয়ে দিতে রাজ্যপাল নবান্নকে জানিয়ে দেন। যদিও এই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত সরকারিভাবে রাজভবন বা নবান্নের পক্ষ থেকে কিছু জানানো হয়নি। ১৩টি রাজ্যের রাজ্যপাল পরিবর্তন করা হয়েছে। বাংলায় আনন্দ বোস সদ্য আসায় তাঁকে রেখে দেওয়া হয়েছে। আর এই বড়লাট বিজেপির পছন্দ নয়। তা নিয়ে বিস্তর নালিশ ঠোকা হয়েছে নয়াদিল্লিতে।
কেন এমন ঘটনা ঘটল? সম্প্রতি শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেন, নবান্ন–রাজভবন সখ্𝔉যের পিছনে নন্দিনীর ভূমিকা রয়েছে। সূত্রের খবর, এই বিষয়ে খোঁজ নেয় দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বও। রাজ্যপালের শপথ থেকে শুরু করে সরস্বতী পুজোয় ‘হাতেখড়ি’, সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজের অনুষ্ঠান এবং বিধানসভায় বাজেট অধিবেশনে ভাষণ— এই সবকিছুর নেপথ্যে নন্দিনীর হাতযশ রয়েছে বলে বিজেপির অভিযোগ। তখন শুভেন্দুর অভিযোগকে গুরুত্ব দেওয়া হয়। শনিবার রাজভবন✤ে যান সুকান্ত। বৈঠক করেন আনন্দের সঙ্গে। তারপরই রাজ্যকে কড়া বিবৃতি। তখন থেকেই বোঝা যাচ্ছিল আনন্দ পথ বদলাচ্ছেন। নন্দিনীর অপসারণ বিজেপি নেতাদের সরাসরি চাপেই বলে মনে করা হচ্ছে।