নাগাড়ে বৃষ্টিতে জলমগ্ন গ্রামবাংলা। তার উপর আবার ডিভিসি থেকে জল ছাড়া হয়েছে। সুতরাং এখন বানভাসী পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল থেকে শুরু করে উত্তরের মালদায় এখন বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হতে চলেছে। এই আশঙ্কায় সাতটি জেলাকে পরিস্থিতির উপর কড়া দৃষ্টি রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্🥃ণ দ্বিবেদী। নবান্নে জরুরি বৈঠক পর্যন্ত করতে হয়েছে ছুটির দিনে। সুতরাং পরিস্থিতি যে বেশ উদ্বেগের তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তার মধ্যেই রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস একটি উদ্যোগ নিয়ে ফেলেছেন বলে সূত্রের খবর। আর সেটা নিয়ে এখন বিস্তর চর্চা হচ্ছে।
বিষয়টি ঠিক কী ঘটেছে? একদিকে নাগাড়ে বৃষ্টি ও অপরদিকে ডিভিসির একাধিক জলাধার থেকে জল ছাড়ায় গ্রামবাংলা এখন ভাসছে। তাই রাজ্যের সাত জেলার জেলাশাসক এবং পুলিশ সুপারদের নিয়ে বৈঠক করা হয়েছে নবান্নে। এমনকী বন্যা পরিস্থিতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। এখন এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে যে, বাংলার সাত জেলায় যে কোনও সময় বন্যা দেখা দিতে পারে। এই আবহে রাজভবন সূত্রে খবর মিলেছে, রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস তাঁর একমাসের বেতন মুখ্যমন্ত্র𝐆ীর ত্রাণ তহবিলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে এখনও পাঠাননি। এই টাকা পাঠালে তা হবে বড় ঘটনা রাজ্য–রাজনীতিতে। কারণ আগে এমন ঘটনার নজির নেই।
কেন এমন করলেন রাজ্যপাল? বাংলার উপর আর্থিক চাপ আছে। তাই একশো দিনের টাকা, আবাস যোজনার টাকা কেন্দ্রীয় সরকার বকেয়া রাখায় নয়াদিল্লিতে গিয়ে আন্দোলন করছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তার উপর বাম জমানার করা দেনার টাকা দিতে হচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস সরকারকে। সেখানে বাংলায় অতিবৃষ্টি শুরু হয়েছে। আর তার মধ্যেই 💖ডিভিসি থেকে জল ছাড়া শুরু 🍎হয়েছে। তাতে ঘাটাল, চন্দ্রকোনা–সহ অন্যান্য জেলায় বানভাসী অবস্থা তৈরি হয়েছে। আবার দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকে জল ছাড়া বাড়ানো হয়েছে। এটা চলতে থাকলে দুর্গাপুজোর আগে বাংলা ভাসমান অবস্থায় পৌঁছে যেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রশাসনের। ঠিক তখনই রাজ্য প্রশাসনের পাশে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে নিজের একমাসের বেতন দানের সিদ্ধান্ত নিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস বলে সূত্রের খবর।
আরও পড়ুন: সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশ চ্যালে𝓀ঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যাচ্ছেন অভিষেক, চাপে কি 🅺ইডি?
আর কী জানা যাচ্ছে? পরিস্থিতি যদি আরও খারাপ হয় তাহলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকেই দায়িত্ব নিতে হবে মানুষের। তাঁদের উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে রাখতে হবে। আবার ত্রান দিতে হবে। অসুস্থ হয়ে পড়লে চিকিৎসা করতে হবে। এমনকী তাঁদের কোনও ক্ষতি হলে সেটাও সরকারকে দেখতে হবে। এটাই রীতি। সেক্ষেত্রে বড় অঙ্কের টাকার খরচ রয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার বকেয়া টাকাই দিচ্ছে না বলে অভিযোগ। সেখানে বন্যার ক্ষেত্রে কতটা সাহায্য করবে তা নিয়ে সন্দিহান সবপক্ষ। সেখানে রাজ্যপালের এমন সিদ্ধান্ত বেশ🅰 তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।