রাজ্যপাল সিভি ꦡআনন্দ বোস ২০২২ সালের ২৩ নভেম্বর দায়িত্ব নেন। সুতরাং আগামী কাল, বুধবার তাঁর বর্ষপূর্তি। তখন থেকেই সরস্বতী পুজোয় ‘হাতেখড়ি’, দুর্গাপুজোয় ‘প্যান্ডেল হপিং’ করেছেন। কারণ বাংলার সঙ্গে নিজেকে একাত্ম করতে চেয়েছেন তিনি। এবার তাঁর বর্ষপূর্তি এসে গেল। তাই ওই বিশেষ দিনে বাংলার মানুষের সঙ্গে মিশবেন রাজ্যপাল। ২৩ নভেম্বর থেকে রাজভ꧂বনে নতুন কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। রাজ্যপালের সঙ্গে রাজভবনে খাবার সুযোগ পাবেন বাংলার সাধারণ মানুষ। যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘মিল উইথ গভর্নর’। এছাড়া তফশিলি জাতি–উপজাতি ছাত্রছাত্রীদের বৃত্তি দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন রাজ্যপাল।
বাংলায় বারবার রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস নানা উদ্যোগ নিয়েছেন। পিস রুম থেকে শুরু করে আমনে–সামনে এবং ভবঘুরেকে রাজভবনে চাকরি দেওয়ার মতো ঘটনা ঘটিয়েছেন। এবার একবছর পূর্তি নিয়ে রাজ্যপাল আজ, মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠক করেন। সেখানে তাঁর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর সম্পর্কের কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘একটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্ಌরীর সঙ্গে রাজ্যপালের সম্পর্কের তিনটি আলাদা স্তর রয়েছে। প্রথম ব্যক্তিগত। দ্বিতীয় গণতন্ত্রের রক্ষা এবং তৃতীয় সাম্য বজায় রাখা। আমি বাংলাকে ভালবাসি। বাংলার মানুষকে অত্যন্ত ভালবাসি। আমি বাংলাকে নিজের ভূমি হিসাবে মনে করতে শুরু করেছি। তাই আমার কিছু দায়িত্ব রয়েছে।’
রাজ্যপাল হিসাবে সেই দায়িত্ᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚব তিনি পালন করতে চান। তাই ‘মিল উইথ গভর্নর’। বিল পাশ প্রসঙ্গটি তোলা হয় সাংবাদিক বৈঠকে। তিনি কি আটকে রেখেছেন বিলগুলি? জবাবে রাজ্যপাল স্পষ্ট বলেন, ‘কোনও বিল আমার কাছে আটকে নেই। কিছু বিল সরকারের কাছে পাঠানো হয়েছিল। সেই ফাইলগুলির বিষয়ে আরও বেশি স্পষ্টতা প্রয়োজন। হিংসা ও দুর্নীতি এই রাজ্যের সবচেয়ে বড় সমস্যা। আমি বলছি না এই দুর্নীতি বা হিংসা এই সরকারের তৈরি। কিন্তু তার সমাধান প্রয়োজন।’
আরও পড়ুন: মুখ থেকে জিভ টেনে ছিঁড়ে নেওয়ার ন꧋িদ🅠ান, বিজেপি সাংসদকে আক্রমণ তৃণমূল বিধায়কের
আজ থেকে রাজ্যে বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন শুরু হয়েছে। যা আগামীকালও চলবে। সেদিন রাজ্য🃏পালের বর্ষপূর্তি। এই আবহে রাজ্যের সব ভালতেই তিনি রয়েছেন বলে জানান সিভি আনন্দ বোস। ২৩ নভেম্বর থেকে রাজভবনে একাধিক কর্মসূচি নেওয়া হবে। সেখানে গণবিবাহের আয়োজন থেকে মিল উইথ গভর্নর রাখা হয়েছে। যা সপ্তাহে 🐲একদিন করে করা হবে। সাধারণ মানুষের সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজ করবেন রাজ্যপাল। বাংলায় একটি থিম সং পরিবেশন করা হবে। তাই আজ সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্যপাল বলেন, ‘৩৬৫ দিন বাংলার মানুষের সঙ্গে থাকবেন। আদ্যন্ত বাঙালি হয়েই।’