রাজ্য়- রাজ্য়পাল সংঘাত কোনও অংশে কমেনি। এসবের মধ্য়েই বাংলার মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে চিঠি দিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। মূলত ভোটের ফলাফল ঘোষণার পর থেকেই রাজ🌟্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নানা ধরনের সন্ত্রাসের অভিযোগ আসছে। বিজেপির দাবি তাদের বহু কর্মী ঘরছাড়া অবস্থায় রয়েছেন। বিপন্ন অবস্থায় রয়েছেন তাঁরা। সেই পরিস্থিতিতে এবার মমতা বন্দ✤্য়োপাধ্যায়ের কাছে চিঠি পাঠালেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।
সূত্রের খবর, মূলত ওই চিঠিতে লেখা হয়েছে রাজ্য়ের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। সেই উদ্বেগের কথাই তিনি মমতাকে পাঠানো চিঠিতে উল্লেখ করেছেন। সেই সঙ্গেই যে সমস্ত হিংসার খবর রাজভবনের গোচরে এসেছে তা দূর করতে, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সরকারের তরফে ঠিক কী ধরনের ব্য♓বস্থা করা হয়েছে, কাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে সেটাও জানতে চাওয়া হয়েছে।
এদিকে এর আগে রাজ্যপাল জানিয়েছিলেন সব মিলিয়ে ১০২৫টি অভিযোগ তিনি পেয়েছেন। এমনকী এই সব হিংসার শেষ দেখে🐽 তিনি ছাড়বেন বলেও জানিয়েছিলেন।
এর আগে ভোট পরবর্তী হিংসায় আক্রান্তদের নিয়ে রাজ্যপালের কাছে গিয়েছিলেন শুভেন্দু। কিন্তু সেখানে প্রবেশের ক্ষেত্রে তাঁদের নানা পুলিশি বাঁধার মুখে পড়তে হয়েছিল। তখনও পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন ত⛄িনি।
রাজ্যপাল বলেছিলেন✃, ‘আমি আক্রান্তদের রাজভবনে গিয়ে দেখা করার অনুমতি দিয়েছিলাম। তবে তাদের যেভাবে আটকানো হয়ে൲ছে তাতে আমি হতবাক হয়েছি এই দেখে যে কীভাবে আক্রান্তদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে বা তাদের জীবন রক্ষা করতে বাধা দেওয়া হচ্ছে।’
তিনি বলেছিলেন, ‘রাজ্যপাল যদি মুখ্যমন্ত্রী বা সরকারের কাছে কিছু জানতে চান তাহলে রাজ্য স💛রকার বা মুখ্যমন্ত্রীর উচিত হল তা জানানো। কিন্তু, বারবার তা লঙ্ঘন করা হচ্ছে। সরকার নিজের দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হচ্ছে।’
এদিকে ভোট পরবর্তী হিংসায় আক্রান্তদের বড়বাজারের মহেশ্বরী ভবনে রাখা হয়েছিল। সেখ𝔉ানেও 🉐গিয়েছিলেন রাজ্যপাল। প্রায় ১৫০ জন আক্রান্ত ব্যক্তির সঙ্গে তিনি দেখা করেছিলেন। এবিষয়ে রাজ্যপাল বলেছিলেন, ‘আমি ক্ষতিগ্রস্তদের কথা শুনেছি। একজন রাজ্যপাল হিসেবে আমি কোনও মন্তব্য করার আগে নিশ্চিত হতে চাই। সরকারের রিপোর্ট চেয়েছি। সরকারের বক্তব্য শোনার পর আমি আমার মতামত জানাব।’ রাজ্যপাল রাজ্য সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে আরও বলেন, ‘সত্যকে চাপা দেওয়া যায় না। সত্য একদিন বেরিয়ে আসবে। পশ্চিমবঙ্গে অনেক হিংসার ঘটনা ঘটেছে যা দুঃখজনক।’