পিনাকী ভট্টাচার্য
কলকাতার ধর্মতলার গ্রান্ড হোটেলের সামনের ফুটপাথ হকারমুক্তি করতে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। একই সঙ্গে ওই এলাকায় বেআইনি হকাররা কী করে বিদ্যুতের সংযোগ পেলেন তার জবাব সিইএসসির কাছে তলব করেছেন তিনি। কিন্তু ট্রেড লাইসেন্স ব🐬া কোনও নথি না থাকলেও বছরের পর পর বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়ে ব্যবসা করছেন ধর্মতলার ফুটপাথের হকাররা। এই নিয়ে হিন্দুস্তান টাইমসের হাতে এসেছে এক্সক্লুসিভ তথ্য।
গ্রান্ড হোটেলের সামনেও ধর্মতলা বাস স্ট্যান্ডে দশকের পর দশক ধরে চলে আসছে বেআইনিভাবে বিদ্যুৎ বিক্রির রকমরা কারবার। গোটা এলাকায় বেআইনি বিদ্যুতের কারবার চালান শহরতলির বাসিন্দা এক ব্যক্তি। হকারদের দাবি, পুলিশসহ সমস্ত পক্ষকে বখরা দিয়ে বছরের পর বছর ধর্মতলা চত্বরে বেআইনি♒ বিদ্যুতের সংযোগ দিয়ে আসছেন তিনি। হকারদের প্রতি দিন পয়েন্ট প্রতি দিতে হয় বিদ্যুতের দাম। প্রতি দিন সমস্ত হকারের কাছ থেকে বিদ্যুতের দাম সংগ্রহ করেন এক ব্যক্তি।
কী ভাবে চলে এই বেআইনি বিদ্যুতের কারবার?
গ্রান্ড হোটেলের ফুটপাথ ও ধর্মতলা বাসস্ট্যান্ড চত্বরের হকারদের কোনও বৈধ বিদ্যুতের সংযোগ নেই। বছরের পর বছর বেআইনি বিদ্যুৎ সংযোগেই ব্যবসা করছে তারা। ধর্মতলায় বেআইনি বিদ্যুৎ কারবাওরের সঙ্গে যুক্ত এক ব্যক্তি জানাচ্ছেন, দিনের বেলা ফুটপাথে বিদ্যুৎ সংযোগের প্রয়োজন হয় না। সব থেকে বেশি চাহিদা থাকে সন্ধ্যায়। তাই বিদ্যুৎ সংযোগ সরবরাহ শুরু হয় বিকেল ৫টা থেকে। রাত ১০টা পর্যন্ত চলে পরিষেবা। এজন্য ধর্মতলা চত্বরেই একটি নির্দিষ্ট জায়গায় একাধিক জেনারেটর বসানো রয়েছে। বিকেল ৫টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত চলে সেগুলি। জরুরি পরিস্থিতি সামাল দিতে রাখা থাকে বাড়তি জেনারেটরও। অর্থাৎ এই বিদ্যুৎ সরবরাহের কারবারের সঙ্গে সিইএসসির কোনও যোগ নেই।
ওই ব্যক্তির দাবি, পুলিশ থেকে শুরু করে সব পক্ষকে লাভেরꦡ ভাগ দিয়ে তবে ব্যবসা করতে হয়। আগামী ৪ অক্টোবর বিচারপতি সিনহার বেঞ্চে ফের রয়েছে মামলার শুনানি। এখন দেখার সেখানে CESC কী জানায়।
বলে রাখি, লাইসেন্স ছাড়া বিদ্যুৎ সরবরা🏅হের ব্যবসা সম্পূর্ণ বেআইꦓনি।