বছর ঘুরলেই রাজ্যে নির্বাচন। এই নির্বাচনে এখন মূল প্রতিপক্ষে তৃণমূল–বিজেপি। বিজেপি’র মূল কাণ্ডারি মুকুল রায়। সেরকমই কলকাতায় দাঁড়িয়ে বলেছিলেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়। এবার সেই বিজেপি নেতা মুকুল রায় এবং তাঁর স্ত্রীর সম্পত্তির পূর্ণ হিসেব এবং ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের তথ্য চেয়ে নোটিশ পাঠিয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টোরেট (ইডি)🤡 বলে খবর চাউর হয়েছে। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম তা খবরও করেছে। কিন্তু মুকুল রায় পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি এমন কোনও নোটিশ পাননি। পেলে অবশ্যই জানাবেন। ইডি’র দাবি, নথিপত্র বা ব্যাঙ্ক আমানতের যে সব তথ্য তিনি আগে পেশ করেছেন, তা আংশিক। পূর্ণাঙ্গ তালিকা দিতে হবে।
মঙ্গলবার এই বিষয়ে মুকুল রায়কে প্রশ্ন করা হয়। তিনি বলেন, ‘আমি এমন কোনও নোটিশ ইডি’র পক্ষ থেকে পাইনি। আমি আগেও যা বলেছি এখনও তা বলছি। এখানে কোনও লুকোছাপার বিষয়ꦯ নেই। তবে ইডি’র নোটিশ পেলে অবশ্যই সংবাদমাধ্যমকে জানাবো।’ সূত্রের খবর, চিঠিটি লেখা হয়েছে ৯ নভেম্বর। চিঠিতে বলা হয়েছে যে ৩ জুলাই ই–মেল করে মুকুলবাবুর কাছে যা নথিপত্র চাওয়া হয়েছিল, ৩১ জুলাই ই–মেল করে তিনি তার অনেকটা জানিয়ে দেন। কিন্তু কিছু নথি বাকি আছে।
ইডির কথায় মাত্র একটি 💙ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের নথি দিয়েছেন তিনি। তাঁর স্ত্রীর সব ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের তথ্য চাই। ২০১৭–১৮ এবং ২০১৯–২০ সালের আয়কর রিটার্নও। ২০১৩–১৪ অর্থবর্ষ থেকে আজ পর্যন্ত তিনি যত সম্পত্তি কিনেছেন, তারও হিসেব দিতে হবে চিঠি পাওয়ার সাতদিনের মধ্যে। এখানেই তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হয়, শুভেন্দু কবে বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন? মুকুল রায় বলেন, ‘এখনও কথা হয়নি এই বিষয়ে। কথা হলে জানিয়ে দেব।’
ইডি সূত্রে খবর, বেআইনি অর্থ লগ্নি সংস্থা সারদার আর্থিক কেলেঙ্কারিতে নাম জড়িয়েছে মুকুলবাবুর। সেই সময় তিনি ছিলেন তৃণমূলে। রাজ্য পুলিশ ২০১৩ সালের ২৩ এপ্রিল কাশ্মীরে সারদার কর্ণধার সুদীপ্ত সেন, ওই সংস্থার অন্যতম কর্ত্রী দেবযানী মুখোপাধ্যায়কে গ্রেপ্তার করে। পরে সিবিআই তদন্তভার নেয়। সুদীপ্তদের গাড়ি চালক অরবিন্দ সিং চৌহান অভিযোগ করেন তাঁদের সঙ্গে বর꧒াবর যোগাযোগ ছিল মুকুলবাবুর। ২০১৫ সালের জানুয়ারিতে কলকাতায় সিজিও কমপ্লেক্সে ডেকে মুকুলবাবুকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। নারদ মামলাতেও নাম ♊জড়ায় মুকুলবাবুর।