মঙ্গলবার উত্তরবঙ্গে আর্মির সেভক এয়ারবেসে হেলিকপ্টার থেকে নামতে গিয়ে পায়ে চোট পেয়েছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্ꦍরী। এরপর তাঁকে দ্রুত কলকাতায় নিয়ে আসা হয়। তাঁকে প্রাথমিকভাবে এসএসকেএমে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখানে তাঁর প্রাথমিক চিকিৎসা করা হয়। দ্রুত চিকিৎসকরা তৎপর হন। তবে এখন কেমন আছেন তিনি?
এনিয়ে সরকারি তরফে হেলথ বুলেটিন প্রকাশ করা হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ এই বুলেটিন প্রকাশ করা হয়। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, 'মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর বাঁ হাঁটুতে লিগামেন্ট ইনজুরি হয়েছে। বাঁদিকে হিপ জয়েন্টেও গতকাল লেগেছিল। তবে এদিন তাঁর পরিস্থিতির সামান্য উন্নতি হয়েছে। তবে এখনও তাঁর যন্ত্রণা রয়েছে। চলꩵতে ফিরতে গেলে আরও লাগছে। আজ সন্ধ্যায় একজন ফিজিওথেরাপিস্ট সহ চিকিৎসকদের একটি টিম তাঁর শরীরের পরীক্ষা করেছেন। তাঁকে এদিন দুঘণ্টা ধরে ফিজিওথেরাপি সেশন দেওয়া হয়েছে। ওষুধটা চালিয়ে যাওয়ার জন্য আমরা তাঁকে পরামর্শ দিয়েছি। কিছু সময়ের জন্য হাঁটাচলায় একটু নিয়ন্ত্রণ করার জন্য বলা হয়েছে। ফিজিওথেরাপি সেশন আগের মতোই চলবে। '
এই হেলথ বুলেটিন অনুসারে অনেকেরই ধারণা এখনই হয়তো পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচারে যেতে পারবেন না মমতা। তবে এর আগে বিধানসভা ভোটের সময়ও পায়ে চোট পেয়েছিলেন মমতা। তারপর অবশ্য় তিনি হুইল চেয়ারে বসেই প্রচার করেছিলেন। করেছিলেন সভা। এবার কি তিনি হুইল চেয়ারে বসে পঞ্চায়েত ভোটের প্রচারে অং൲শ নেবেন?
এদিকে অনেকেই তাঁর দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন। তবে তার মধ্য়েই সোশ্য়াল মিডিয়ায় নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। উত্তরবঙ্গে পায়ে চোট পেয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখান থেকে কাছেই ছিল উত্তরবঙ্൩গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল। কিন্তু সেখানে না গিয়ে তিনি চলে আসেন এসএসকেএমে। এনিয়ে অনেকের প্রশ্ন তবে কি উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের উপরে ভরসা নেই মুখ্যমন্ত্রীর? এই প্রশ্নের উত্তর মেলেনি।
মঙ্গলবার জলপাইগুড়ির ক্রান্তি থেকে হেলিকপ্টারে রওনা দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কথা ছিল, হেলিকপ্টারে করে বাগডোগরা আসবেন তিনি। তারপর সেখান থেকে বিমানে কলকাতা ফিরবেন। কিন্তু মাঝ আকাশে হেলিকপ্টার যখন বৈকুণ্ঠপুর জঙ্গলের উপর উড়ছে তখন প্ꦅরাকৃতিক দুর্যোগের কবলে পড়ে মুখ্যমন্ত্রীর হেলিকপ্টারে। দুর্যোগের মুখে পড়ে হেলিকপ্টারটি অন্য়দিকে ঘুরিয়ে দেয়। এরপর সেবক এয়ারবেসে সেটি জরুরী অবতরণ করে। হেলিকপ্টার থেকে নামার সময় মুখ্যমন্ত্রীর পায়ে কোমরে চোট লাগে বলে খবর।