রোগী মৃত্যুর ঘটনায় পশ্চিমবঙ্গ ক্লিনিকাল এস্টাবলিসমেন্ট রেগুলেটরি কমিশনের রোষের মুখে পড়ল হাওড়ার একটি নার্সিংহোম। কমিশন ওই নার্সিংহোমকে ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। প্রায় ৪ বছর আগে🥂 হাওড়ার বাগনানের ওই নার্সিংহোমে যমজ সন্তান জন্ম দেওয়ার পরে মৃত্যু হয়েছিল এক মহিলার। সেই ঘটনায় নার্সিংহোমের গাফিলতি খুঁজে পাওয়ায় ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কমিশন।
কমিশ🌳ন সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই মহিলার নাম চম্পা শাসমল । ২০১৯ সালের ৪ এপ্রিল প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে ওই মহিলাকে ভরতি করা হয়েছিল বাগনানের সানফ্লাওয়ার নার্সিংহোমে। ভরতি হওয়ার পর সেখানে যমজ সন্তানের জন্ম দিয়েছিলেন তিনি। স্বাভাবিক প্রসব হয়েছিল ওই মহিলার। কিন্তু, তারপরেই ঘটে বিপত্তি। প্রসবের কয়েক ঘণ্টা পর অতিরিক্ত রক্তপাত হতে শুরু করে মহিলার। সেইসঙ্গে শ্বাসকষ্ট এবং শরীরে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। অবশেষে হৃদযন্ত্র বিকল হয়ে মহিলার মৃত্যু হয়। সেই ঘটনায় নার্সিং🌠হোম কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তোলেন মহিলার স্বামী। তাঁর অভিযোগ ছিল, রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়া সত্ত্বেও ঠিকমতো চিকিৎসা করেনি নার্সিংহোম। এই অভিযোগ তুলে কমিশনের দ্বারস্থ হন মহিলারꦜ স্বামী।
চিকিৎসক সুকুমার মুখোপাধ্যায় এবং মাখন লাল সাহা-সহ স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের প্যানেল স্বাস্থ্য কমিশনে রোগীর নথিপত্র খতিয়ে দেখে। তাঁরা আরও জানতে পারেন, রোগীর অবস্থা অবনতি হলে চার ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে কোনও চিকিৎসা করা হয়নি। তিনি নার্সিংহোমের൩ বেডেই পড়েছিলেন। বেশ কয়েক বছর ধরে মামলা চলার পর স্বাস্থ্য কমিশন ২৪ ফেব্রুয়ারি মামলার শুনানি শেষ করে রায় ঘোষণা করে। কমিশনের চেয়ারম্যান অসীম কুমার বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘কমিশন মনে করে যে রোগী যখন গুরুতর অ🤪বস্থায় ছিল তখন তাঁকে সঠিকভাবে চিকিৎসা করা হয়নি। ঠিকমতো চিকিৎসা করা গেলে রোগীর জীবন বাঁচানো সম্ভব হতো। আমরা আমরা নার্সিংহোমের গাফিলতি খুঁজে পেয়েছি। তাই আমরা নার্সিংহোমকে ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছি।’ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে এই ক্ষতিপূরণের টাকা মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কমিশন।