রাজ্যের জেলা হাসপাতালগুলি থেকে মেডিক্যাল কলেজগুলিতে রোগী স্থানান্তরের প্রবণতা কমাতে এবার বিধি তৈরি করল স্বাস্থ্য দফতর। এক নির্দেশিকায় সেই বিধির কথা জেলার সমস্ত স্বাস্থ্য আধিকারিকদের কাছে পাঠানো ⛦হয়েছে। তাতে নির্দিষ্ট ৩৭০ ধরণের চিকিৎসা পরিষেবা জেলা হাসপাতালগুলিকে দিতেই হবে বলে জানানো হয়েছে। কোনও কারণে তা সম্ভব না হলে কেন এমনটা হল তার জন্য তৈরি রাখতে হবে নথি।
তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো নিয়ে নানা প্রশ্💦ন উঠেছে। তৃণমূলের জমানায় সরকারি চাকরিতে উৎসাহ হারিয়েছে চিকিৎসকদের একাংশ। বদলে বেসরকারি ক্ষেত্রের দিকে পা বাড়িয়েছেন তাঁরা। 🔯যার ফলে রাজ্যে চিকিৎসকের অভাব ক্রমশ প্রকট হয়েছে। যার সব থেকে বেশি প্রভাব পড়েছে জেলার হাসপাতালগুলিতে। এর জেরে জেলা থেকে মেডিক্যাল কলেজগুলিতে রোগী রেফারের প্রবণতা বেড়েছে।
পালটা জেলা হাসপাতালগুলির ওপর রেফার বন্ধে বার বার চাপ তৈরির চেষ্টা করেছে রাজ্য সরকার। এব্যাপারে তাদের একাধিকবার স🐻তর্ক করেছেন মুখ্যমন্ত🐎্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু তাতে কোনও ফল হয়নি বলে অভিযোগ। রাজ্যের বেশ কয়েকটি জেলা হাসপাতাল থেকে স্বাভাবিকের থেকে অনেক বেশি হারে রোগী রেফার করা হচ্ছে বলে দাবি রাজ্য সরকারের।
এই পরিস্থিতিতে ৩৭০ রকমের শারীরিক উপসর্গ ও জটিলতার ক্ষেত্রে জেলা হাসপাতালে চিকিৎসা বাধ্যতামূলক করে নির্দেশিকা জারি করেছে স্বা💮স্থ্য দফতর। নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, কোনও কারণে এই তালিকায় থাকা কোনও চিকিৎসা পরিষেবা রোগীকে দেওয়া সম্ভব না হলে কেন তা দেওয়া গেল না নথি দিয়ে স্বাস্থ্য দফতরকে জানাতে হবে সংশ্লিষ্ট হাসপাতালকে।
সরকারি এই নির্দেশিকায় তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাদের প্রশ্ন, একটি ৮ বছরের শিশু ও একজন ৮০ বছরের বৃদ্ধের হাড় ভাঙার চিকিৎসা কি এক? ৮ বছরের শিশুকে খুব সময়ে সুস্থ করে বাড়ি ফেরানো সম্ভব কিন্তু ৮০ বছরের বৃদ্ধের একাধিক আনুসাঙ্গিক উপসর্গ থ🀅াকে। যার চিকিৎসা জেলা হাসপাতালে সম্ভব নয়। সেই রোগী রেফার করা ছাড়া উপায় কী?