সরকারি হাসপাতালে রোগী রেফারের সমস্যা দীর্ঘদিনের। এই সমস্যা নিয়ে বহুবার স্বাস্থ্য অধিকা𓄧রিক থেকে শুরু করে হাসপাতালগুলিকে ধমক দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাছাড়া বহু পদক্ষেপও করা হয়েছে। তা সত্ত্বেও রেফার রোগ বন্ধ হয়নি। কারণ মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অভিযোগ জানানোর পোর্টালে ইতিমধ্যে রেফার সংক্রান্ত বহু অভিযোগ জমা পড়েছে। সেই বিষয়টি নজরে আসতে বৈঠক করেছে স্বাস্থ্য দফতর। শহরের পাঁচটি মেডিক্যাল কলেজের কর্তৃপক্ষকে ডেকে এই বৈঠক করা হয়। কারণ ওই হাসপাতালগুলিতেই বেশি রো♚গী রেফার করা হচ্ছে। সেই কারণে ওই হাসপাতালে আধিকারিকদের ডেকে বৈঠক করা হয়।
আরও পড়ুন: ৫ জেলায় সবচেয়ে বেশি রোগী রে♊ফার, সতর্ক করল নবান্ন, বৈঠক করতে পারেন মুখ্যসচিব
নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, এসএসকেএম হাসপাতাল, এনআরএস হাসপাতাল, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ, আরজিকর এবং ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ– এই পাঁচটি হাসপাতা﷽লে বিভিন্ন জেলার হাসপাতালগুলি থেকে প্রায়ই রোগಞীদের রেফার করা হয়ে থাকে। মূলত সেই সমস্ত কারণেই ওই পাঁচটি হাসপাতালের উপাধ্যক্ষ ও অতিরিক্ত মেডিক্যাল সুপারদের নিয়ে বৈঠক করলেন স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকরা বৈঠক করেন। বৈঠকে ছিলেন স্বাস্থ্য-শিক্ষা অধিকর্তা, স্বাস্থ্য-অধিকর্তা এবং অন্য আধিকারিকেরা। সেখানে মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে জমা পড়া অভিযোগ করে নিয়ে আলোচনা করা হয়। সেখানে কীভাবে রোগীদের হয়রানির শিকার হতে হয়েছে? কী কারণে রেফার করা হয়েছে? কোথায় রেফার করা হয়েছে? কোন হাসপাতাল থেকে রেফার করা হয়েছে? সেই সমস্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
রেফার সংক্রান্ত এ দিনের আলোচনায় উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর বিষয়। সেখানে দেখা যাচ্ছে যে অধিকাংশ রেফার হয়ে থাকছে রাতে। বিশেষ করে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ এবং কামারহাটি সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে সন্ধ্যের পর থেকে রেফার বেড়ে যাচ্ছে। বৈঠকে জানানো হয়েছে কোন রোগীকে না দেখেই অন্য হাস🍰পাতাল রেফার করা যাবে না। আগে রোগীর প্রাথমিক চ༺িকিৎসা করতে হবে। সে ক্ষেত্রে কী সমস্যা হয়েছে বা কী করা প্রয়োজন? তা রোগীদের পরিবারকে ঠিকমতো বুঝিয়ে দিতে হবে। তারপরে প্রয়োজনে কথা বলে রেফার করা যেতে পারে। তবে কোনওভাবেই রোগী না দেখে রেফার করা যাবে না। প্রসঙ্গত, রেফার রোগ কমাতে জেলায় জেলায় তৈরি হয়েছে মেডিক্যাল কলেজ। কিন্তু, এত কিছু করার পরেও কি রেফার আদৌও বন্ধ করা সম্ভব? তাই নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।