বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। আর তার আগেই বড় চমক দিতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ২০২৪ সালে জানুয়ারি মাসেই উদ্বোধন হতে চলেছে অযোধ্যার রাম মন্দিরের। যা নিয়ে বেশি উৎসাহী আরএসএস। পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে এই তাস খেলা হয়েছে। মধ্যপ্রদেশের প্রচারে বলা হয়েছে, বিজেপিকে ভোট দিয়ে জেতালে বিনামূল্যে রামমন্দির দেখানো হবে। এবার বাংলার ভক্তদেরও অযোধ্যা নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা চলছে। এই আবহে বাংলায় এসে লোকসভা নির্বাচনের মুখে আরও একবার সেই রামমন্দিরের প্রসঙ্গ তুলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং কংগ্রেসের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানালেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী 🍎অমিত শাহ। যা নিয়ে আবার জোর চর্চা শুরু হয়েছে বাংলার রাজনীতিতে।
এদিকে আজ, বুধবার ধর্মতলার সভা মঞ্চে শুরু থেকেই রণংদেহি মেজাজে দেখা যায় অমিত শাহকে। বক্তব্যের একদম শেষে তুলে আনেন রামমন্দির বিষয়টিকে। উপস্থিত জনতার উদ্দেশে ছুঁড়ে দেন প্রশ্ন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রশ্ন, ‘আপনারা বলুন রাম মন্দির তৈরির প্রয়োজন আছে কী নেই?’ জনতার তরফ থেকে কোনও উত্তর শাহ শ🐟ুনতে পেলেন কিনা জানা নেই। তবে তারপরই এই কাজে বাধা দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং কংগ্রেস বলে দাবি করলেন। তবে সে বিষয়ে কোনও তথ্যপ্রমাণ তুলে ধরেননি। এই বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেস জবাব দেবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
ঠিক কী বলেছেন শাহ? এদিন রামমন্দির উদ্বোধন হতে চলেছে বলে জানান অমিত শাহ। তবে আগেই এই কাজ করা যেত। তখন কংগ্রেস আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাধা দিয়েছিলেন বলে দাবি শাহের। তার জেরেই বিলম্ব হয় বলে ধর্মতলা থেকে সোচ্চার হন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তাঁর কথায়, ‘আপনারা বলুন রামমন্দির হওয়া দরকার কি না? কংগ্রেস পার্টি এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রামমন্দির বন্ধ করে দিতে চেয়েছিল। নরেন্দ্র মোদী ভূমꦐি পুজো করেন এবং ২২ জানুয়ারি এই মন্দিরে প্রাণ প্রতিষ্ঠা হবে। সবাই বলুন জয় শ্রী রাম।’ এখানেই সরাসরি মেরুকরণের ইঙ্গিত রয়েছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
আরও পড়ুন: লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় কত আসন পাবে বিজেপি? জোর গলায় বলতে প🌠ারলেন না শাহ
আর কী জানা যাচ্ছে? অন্যদিকে লোಌকসভা নির্বাচনে হিন্দু ভোট টানতেই এমন মন্তব্য বলে মনে করা হচ্ছে। বাংলায় সেই ভোট ভাগাভাগির খেলায় সুর বেঁধে দিলেন শাহ বলেই মনে করছেন প্রবীণরা। কারণ ধর্মতলার মঞ্চ থেকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলতে শোনা গেল, ‘অনুপ্রবেশ রুখতে হবে। সিএএ আনতে হবে। সীমা সুরক্ষিত করতে হবে। বাংলার গরিবের বি🦂কাশ করতে হবে। আমি এই সভা থেকে বলে যাচ্ছি সিএএ হল একটি আইন। একে কেউ রুখতে পারবে না। সকল হিন্দু ভাই–বোনের দেশের উপর অধিকার রয়েছে। এই সেই ঐতিহাসিক ময়দান। এই ময়দানেই সুরাবর্দি ডাইরেক্ট অ্যাকশনের ডাক দিয়েছিলেন। আর গোপাল মুখোপাধ্যায় তা প্রতিহত করেছিলেন। ভারতীয় জনতা পার্টির জন্যও এই ময়দান খুব ভাগ্যশালী।’