সামনে লোকসভা নির্বাচন। যদিও এখনও নির্ঘণ্ট প্রকাশ করেনি জাতীয় নির্বাচন কমিশন। ত🦂া বলে কি বসে থাকা যায়! সব রাজনৈতিক দলই লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রচার শুরু করে দিয়েছেন। সুতরাং সবার পাখির চোখই চব্বিশের নির্বাচন। আর তাই আবার বঙ্গ সফরে আসছেন অমিত শাহ। কেন্দ্রীয় স্বরাষ🌄্ট্রমন্ত্রী আগেরবার ধর্মতলায় সভা করে কিছু হোমওয়ার্ক দিয়ে গিয়েছিলেন বঙ্গ–বিজেপির নেতাদের। এবার সেগুলি খতিয়ে দেখবেন কতটা হল সেই কাজ। তার সঙ্গে আর কোনও নতুন বার্তা দেবেন বলেই সূত্রের খবর।
কবে আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী? সাধারণতন্ত্র দিবসের একদিন পরেই ২৮ জানুয়ারি রবিবার রা꧙তে কলকাতায় আসবেন অমিত শাহ। ২৯ জানুয়ারি পূর্ব মেদিনীপুরের মেচেদায় সভা করবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তারপর সেখান থেকে সায়েন্স সিটিতে এসে দলীয় সভা করবেন। যেখানে হোমওয়ার্ক চেক করা হবে। সেটা সেরে সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নিউটাউনের হোটেলে সাংগঠনিক বৈঠক করবেন রাজ্য নেতাদের সঙ্গে। সেখানে জবাব তলব করা হবে। কেন হোমওয়ার্ক হয়নি? তার জবাব দিতে হবে বঙ্গ– বিজেপির নেতাদের।
অন্যদিকে সোমবার রাতেই নয়াদিল্লি ফিরে যাওয়ার কথা অমিত শাহের। আগে এই শহরে এসে ৩৫টি আসনের লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিয়ে গিয়েছেন অমিত শাহ। সেই লক্ষ্যমাত্রা ෴পূরণে প্রয়োজনীয় নির্দেশও দিয়েছিলেন তিনি। সেটা কতটা কার্যকর হয়ে🐭ছে খতিয়ে দেখবেন তিনি। তবে এই ৩৫টি আসন তিনি সিউড়িতে বলেছিলেন। ধর্মতলার মঞ্চ থেকে বলেননি। কারণ এখানের গ্রাউন্ড রিয়েলিটি তিনি বুঝে গিয়েছেন। তাই তিনি বলেছিলেন, বাংলা থেকে এত আসন চাই যাতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলার এত আসনের জন্য প্রধানমন্ত্রী হতে পারলাম। এবার লোকসভা নির্বাচনের প্রচারের ময়দানে প্রথমবার পূর্ব মেদিনীপুরে সভা করে সফর শুরু করবেন অমিত শাহ বলে খবর।
আরও পড়ুন: ‘এটা আসলে বেপরোয়া ভাব🌜ের লক্ষণ’, একলা চলার নীতিতে মমতাকে খোঁচা মালব্যের
তবে বিজেপি সূত্রে খবর, শুধু পূর্ব মেদিনীপুর নয়, দক্ষিণবঙ্গ এবং উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলায় পর্যায়ক্রমে সভা করবেন অমিত শাহ। অমিত শাহের বঙ্গ সফরসূচি চূড়ান্ত হতেই জোর তৎপরতা শুরু হয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি এবং তমলুক এই দুটি লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ যথাক্রমে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বাবা শিশির অধিকারী ও ভাই দিব্যেন্দু অধিকারী। তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিটে ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে শিশির অধিকারী–দিব্যেন্দু অধিকারী জিতলেও এখন আর তাঁদের কোনও সম্পর্ক নেই। সুতরাং মেচেদায় অমিত শাহের প্রথমবার সভা করা য🤡থেষ্টই তাৎপর্যপূর্ণ।