জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী কেকের মৃত্যুর পর থেকেই অন♏ুষ্ঠানের আয়োজনের বিষয়ে ছাত্র পরিষদের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। ৬ বছর ধরে ছাত্র সংসদের নির্বাচন হয়নি। কিন্তু, তা সত্ত্বেও কলেজগুলিতে ছাত্র সংসদের অস্তিত্ব রয়েছে। অধিকাংশ কলেজেই তৃণমূল ছাত্র পরিষদের দৌরাত্ম্য বহাল রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। কলেজ কর্তৃপক্ষ নাকি অনুষ্ঠানের জন্য ছাত্র পরিষদকে প্রচুর পরিমাণ টাকা তুলে দেন। শুধু তাই নয়, কল𒁏েজে ভর্তির সময় ও এই সমস্ত ছাত্র পরিষদের নেতারা টাকা তোলেন বলেও এখন অভিযোগ উঠছে।
কলেজের অধ্যক্ষদের অভিযোগ, ছাত্র সংসদের নির্বাচন না হওয়া সত্ত্বেও টিএমসিপির অনেক নেতাকর্মী কলেজে প্রতিদিন যাওয়া আসা করে থাকে। পড়ুয়াদের কাছ থেকে তোলা নেওয়া তো বটেই, এমনকি কলেজের উন্নয়নের কোনও কাজ হলে ঠিকাদারদের কাছ থেকেও টাকা তোলে টিএমসিপি। তবে তাদের হাতেই বা কেন কলেজের ফেস্ট করার টাকা দেওয়া হয়? অনুষ্ঠানের জন্য বা এত টাকা তারা কোথায় পেল? তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। গত মঙ্গলবার নজরুল মঞ্চের🌄 অনুষ্ঠানে টিএ🔯মসিপির রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য উপস্থিত ছিলেন। তাঁর বক্ত♋ব্য ছিল, ‘এই টাকা কলেজের তহবিলে জমা ছিল। পড়ুয়ারা কলেজে ভর্তির সময় ছাত্র ইউনিয়ন ফি এবং উৎসব ফি বাবদ যে টাকা দিয়েছেন সেই টাকা থেকেই এই অনুষ্ঠানের খরচ বহণ করা হয়েছে। কোভিডের কারণে দু'বছর ধরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বন্ধ ছিল। ফলে টাকা তহবিলে জমা ছিল।’
কলেজ সূত্র🍎ে জানা গিয়ে, স্যার নজরুল মঞ্চে কেকের অনুষ্ঠানে তদারকিতে ছিলেন কলেজের অধ্যক্ষ মণিশংকর রায় এবং টিএমসিপি ইউনিটের সভাপতি পঙ্কজ ঘোষ। যদিও এই টাকা কীভাবে এল তা নিয়ে পঙ্কজ ঘোষ কোনও বক্তব্য বা প্রতিক্রিয়া দিতে চাননি। অন্যদিকে, কলেজের অনুষ্ঠানে প্রবেশের জন্য ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে টাকা নেওয়া নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন। সাধারণত কলেজের অনুষ্ঠানে বিনামূল্যে ছাত্রদের প্রবেশ করতে দেওয়া হয়। কিন্তু, অনুষ্ঠানে চড়া দামে টিকিট বিক্রি করা হয়েছিল বলে শোনা যাচ্ছে। অন্যদিকে, টিএমসি নেতারাই ছাত্র-ছাত্রীদের অনলাইন পরীক্ষার দাবিতে আন্দোলন করছে। সেখানে কীভাবে হল ভিড় করে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হল? তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। এসএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্য বলেন, ‘টিএমসিপি টাকা নয়-ছয় করে এ ধরনের অনুষ্ঠান করেছে।’