হাওড়া ময়দান থেকে সেক্টর ফাইভ পর্যন্ত ইস্ট - ওয়েস্ট মেট্রো আদৌ কোনও দিন চলবে কি না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গেল মেট্রো রেলের জেনারেল ম্যানেজারের বক্তব্যে। কলকাতা মেট্ඣরোর ৪০ বছর পূর্তি উজ্জাপন অনুষ্ঠান নিয়ে এক সাংবাদিক বৈঠকে কলকাতা মেট্রোর জেনারেল ম্যানেজার পি উদয়কুমার রেড্ডি। তিনি বলেন, ‘শিয়ালদা থেকে একপ্ল্যানেডের মধ্যে কবে মেট্রো চালানো যাবে তা নিয়ে কোনও সময়সীমা দেওয়া সম্ভব নয়।’
আগামী ২৪ অক্টোবর কলকাতা মেট্রো পরিষেবার ৪০ বছর পূর্ণ হবে। সেই উপলক্ষ্যে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে মেট্রো। সেকথা জানানোর পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মেট্রোর জেনারেল ম্যানেজার বলেন, ‘ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রোর শিয়ালদღহ ও এসপ্ল্যানেডের মধ্যে সুড়ঙ্গের কা🔜জ শেষ করা অত্যন্ত জটিল হয়ে উঠেছে। মেট্রোর ইঞ্জিনিয়ারদের সেখানে অত্যন্ত সতর্ক ভাবে কাজ করতে হচ্ছে। ফলে ওই অংশে কবে পরিষেবা চালু করা যাবে তা বলা সম্ভব নয়।’
শিয়া🐷লদা থেকে এসপ্ল্যানেডের মধ্যে মেট্রো গিয়েছে ঘন জনবসতিপূর্ণ এলা✃কা দিয়ে। ওই এলাকায় সুড়ঙ্গ তৈরির সময় একের পর এক বাড়ি ধসে গিয়েছে। সুড়ঙ্গে জল ঢুকে ব্যহত হয়েছে মেট্রোর কাজ। এই নিয়ে গত ২ বছরে বিস্তর ঝক্কি পোহাতে হয়েছে মেট্রোকে।
মেট্রো সূত্রে জানা গিয়েছে, বউবাজারের ওই অংশে সুড়ঙ্গের ভিতরে মোটা লোহার ဣরড দিয়ে বেড়ি তৈরি করে বসানো হচ্ছে। এতে মাটির ওপরের চাপ সহ্য করার ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। তার সঙ্গে রয়েছে রেসকিউ টানেল তৈরির ঝক্কি।
বলে রাখি, সাধারণ মেট্রোর সুড়ঙ্গ তৈরি করা হয় কোনও রাস্তার নীচ দিয়ে। যেমন দক্ষিণেশ্বর – কবি সুভাষ মেট্রোর সুড়ঙ্গ তৈরি হয়েছে চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউ ও জওহরলাল নেহেরু রোডের নীচে। তেমনই ইস্ট - ওয়েস্ট মেট্রোর মূল পরিকল্পনায় শিয়ালদা থেক💯ে বিবি গাঙ্গুলি স্ট্রিটের নীচ দিয়ে সেন্ট্রাল হয়ে মহাকরণ দিয়ে সুড়ঙ্গ গঙ্গার নীচে প্রবেশ করার কথা ছিল। কিন্তু ক্ষমতায় এসে সেই প্রস্তাবে বেঁকে বসেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এসপ্ল্যানেড দিয়ে মেট্রো না গেলে রাজ্য সরকার প্রকল্পের অনুমতি দেবে না বলে জানিয়ে দেন তিনি। ফলে বাধ্য হয়ে বউবাজারের ঘন বসতিপূর্ণ এলাকার নীচ দিয়ে সুড়ঙ্গ তৈরির পরিকল্পনা করতে হয় মেট্রোকে। তার জেরেই এই বিপর্যয় বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।