আইএএস নন্দ🌸িনী চক্রবর্তী। অতীতে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক দায়িত্ব সামেলেছেন। সম্প্রতি রাজভবন পর্বের জেরে তাঁর নাম ফের সামনে এসেছিল। তবে তারপর থেকেই সেই নন্দিনীকে বিশেষ দেখা যেত না। তবে বুধবার নবান্ন সভাঘরে দেখা গেল তাঁকে। আর সেটাও বিশেষভাবে। সম্প্রতি বাংলার পর্যটন দফতর আন্তর্জাতিক মঞ্চে 😼পুরস্কৃত হয়েছে। সেই পুরস্কার আনতে বার্লিনে গিয়েছিলেন নন্দিনী। আর মঙ্গলবার সেই পুরস্কার খোদ মুখ্য়মন্ত্রীর হাতে তুলে দিলেন নন্দিনী। একই ফ্রেমে দাঁড়ালেন তাঁরা। তবে অনেকেই বলছেন এমনটাই কার্যত হওয়ার কথা ছিল।
ওয়াকিবহাল মহলের মতে, নন্দিনী চক্রবর্তী দীর্ঘদিন ধরেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের গুডবুকে রয়েছেন। তবে মাঝে তাঁদের মধ্য়ে কিছুটা দূরত্ব তৈরি হয়েছিল বলে শোনা গিয়েছিল। পরে অবশ্য় সেসব মিটে যায়। সেই নন্দিꦅনী চক্রবর্তীই রাজভবনের প্রধান সচিব হয়েছিলেন। কিন্তু বিরোধীরা অভিযোগ তুলেছিলেন ওই আমলা আসলে তৃণমূল ঘন💜িষ্ঠ। এদিকে বর্তমান রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে তাঁর কিছুটা মতের অমিল হয়েছিল বলেও খবর। এরপরই রাজ্যপাল নন্দিনীকে রাজভবন থেকে সরাতে চেয়ে নবান্নের কাছে চিঠি পাঠান। কিন্তু প্রথম দিকে নবান্ন যেন বিষয়টিকে বিশেষ আমল দিতে চায়নি।
তবে শেষ পর্যন্ত রাজভবনের জেদের কাছে হার মানে নবান্ন। রাজভবন থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল ৯৪ ব্যাচের আইএএস নন্দিনী চক্রবর্তীকে। এরপর তিনি জায়গা পান রাজ্যের পর্যটন দফতরে। সেই নন্দিনী চক্রবর্তী এদিন বার্লিন থেকে পাওয়া পুরষ্কার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে তুলে দেন। তার 🐭পটভূমিকাটাও কার্যত রচনা করলেন দক্ষ আইএএস।&𒊎nbsp;
বুধবার নবান্ন সভাঘরে বিশ্বের মঞ্চে রাজ্যের পুরস্কার পাওয়ার ঘটনার কথা তুলে ধরেন মমতা। এরপর নন্দিনী চক্রবর্তী এই পুরস্কার প্রাপ্তির বিষয়টির নানা দিক সম্পর্কে প্রকাশ করেন। আর সেই কথা প্রসঙ্গেই তিনি জানিয়ে দেন বার্লিন থেকে যে পুরস্কার পাওয়া গিয়েছে সেটি তিনি মুখ্যমন্ত্রীর হাতে অর্পণ করতে চান। তবে নন্দিনীর এই কথা শুনে হেসে সম্মতি দেন মুখ্য়মন্ত্রী। তবে এনিয়ে আর দেরি করেননি ন💦ন্দিনী। তিনি পুরস্কারটি মুখ্যমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন। পর্যটনমন্ত্রীও এগিয়ে আসেন। তবে পর্যটন প্রসারের নানা কথা অতীতেও মুখ্য়মন্ত্রী বার বার তুলে ধরেছেন। এবার একেবারে আন্তর্জাতিক মঞ্চে পুরস্কার পেয়েছে বাংলা। অত্যন্ত খুশি মুখ্যমন্ত্রী। এদিন যেন মুখ্যমন্ত্রীর হাতে পুরস্ক🦂ার তুলে দিয়ে সেই খুশিকে আরও কয়েকদফা বাড়িয়ে দিলেন খোদ নন্দিনী চক্রবর্তী।