যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় আরও ৬ জনকে গ্রেফতার করল কলকাতা পুলিশের হোমিসাইড শাখার অফিসাররা। এখনকার এবং প্রাক্তনী মিলিয়ে গ্রেফতার করা হয়েছে ৬ জনকে বলে খবর। সেক্ষেত্রে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় গ্রেফতারির সংখ্যা বেড়ে হল ৯। কারণ এই ঘটনায় আগে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। সারারাত জিজ্ঞাসাবাদ করার পর তাঁদের গ্রেফতার করেন কলকাতা পুলিশের তদন্তকারী অফিসাররা। আজ, বুধবারই ধৃত ৬ জনকে আদালতে তুলে পুলিশ হেফাজতে নেওয়ার চেষ্টা করবে পুলিশ বলে সূত্রের খবর। একটি মহলের দাবি, পুলিশের সামনে কী বয়ান দিতে হবে, তা নিয়ে ‘ক্লাস’ নেওয়া হয়ে♉ছিল।
এদিকে এবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ–উপাচার্য অমি🌌তাভ দত্ত এবং ডিন অফ স্টুডেন্টস রজত রায়কে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় কলকাতা পুলিশ। সূত্রের খবর, চলতি সপ্তাহেই তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে শীর্ষ পুলিশ কর্তারা। ইতিমধ্যেই ডিন অফ স্টুডেন্টসকে দু’বার জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। গত বুধবার রাতে (একসপ্তাহ আগে) যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন হস্টেলের এ–২ ব্লকের নীচে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় প্রথম বর্ষের বাংলা বিভাগের ছাত্রকে। তারপর বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে তাঁর মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় পড়ুয়ার পরিবার র্যাগিংয়ের অভিযোগ তুললে তদন্ত শুরু করে লালবাজার।
অন্যদিকে ইউজিসির নির্দেশিকায় হস্টেলে সিসি ক্য়ামেরা লাগানোর কথা বলা হলেও যাদবপুর হস্টেল ক্য়াম্পাসে সিসি ক্যামেরা নেই কেন? উঠেছে প্রশ্ন। তারপর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রিপোর্টের ভিꦆত্তিতেই সন্তুষ্ট হয়ে তদন্ত করতে এল না ইউজিসির প্রতিনিধিদল। তাই ইউজিসির ভূমিকা নিয়েও অনেককে বাঁকা চোখে তাকাচ্ছেন। গত কয়েকদিনে একাধিক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। সেখান থেকেই প্রাপ্ত💟 তথ্য অনুযায়ী, মেন হস্টেলে অন্তত ২০ জন প্রাক্তনী থাকতেন। তাঁরাই নানা অকাজে জড়িত বলে অভিযোগ। তাহলে কেন উদাসীন ছিল কর্তৃপক্ষ? এবার সহ–উপাচার্য ও ডিন অফ স্টুডেন্টসের কাছ থেকে আরও তথ্য জানতে চাইবেন তদন্তকারীরা।
আরও পড়ুন: রক্তগঙ্গা বয়ে গেল চোপড়ায়, দুই গোষ্ঠীর গোলাগুলিতে গু𝓀লিবিদ্ধ হয়েছে ১৪ জন
আর কী জানা যাচ্ছে? লালবাজার সূত্রে খবর, এই ঘটনার তদন্তে উঠে এসেছে অন্তত ২০ জন ছাত্র যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করার পরেও ছাত্রাবাস বা হস্টেল আটকে রেখেছেন। তাঁদের ডাকার প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে। তদন্তকারীদের নজরে রয়েছে গ্রেফতার হওয়া পড়ুয়াদের মোবাইল ফোনও। তাই মঙ্গলবার ধৃত তিনজনের মোবাইল ফোন ফরেনসিক পরীক্ষা▨র জন্য পাঠানো হয়েছে। বাকিদের মোবাইলে কী তথ্য রয়েছে? সেটা খতিয়ে দেখার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা। মোবাইলে ওই রাতের অত্যাচারের ভিডিয়ো থাকতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে।