যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে নানা অভিযোগ আছেই। তার উপর র্যাগিংয়ের অভিযোগ থেকে শুরু করে পড়াশোনার মান পড়ে যাওয়ার বিষয়টিও নানা সময়ে সামনে এসেছে। কিন্তু এই বিশ্ববিদ্যালয়ই বারবার কৃতী ছাত্রছাত্রীদের সামনের সারিতে নিয়ে এসেছে। তবে এবার এখানে পরিদর্শনে এসে বিস্মিত হলেন ন্যাশনাল অ্যাসেসমেন্ট অ্যান্ড অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিলের (ন্যাক) প্রতিনিধিরা। আর এই বিস্ময়ের কারণ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ফি কাঠামো। দেশের এই সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ে এত কম ফি তাঁরা ভাবতেꦫই পারছেন না। আর তা নিয়ে এমন উন্নতমানের শিক্ষা কেমন করে দেওয়া সম্ভব সেটা জেনেই বিস্মিত হন ন্যাকের দল বলে সূত্রের খবর।
২০২৩ সালেই এই বিশ্ববিদ্যালয়ে র্যাগিংয়ের জেরে বাংলা বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্রের মৃত্যু হয়েছিল বলে অভিযোগ। ২০২৪ সালেও একই অভিযোগ উঠেছিল। যার জেরে চিঠি গিয়েছিল ইউজিসি🎶–তে। তবে এবার ১১ থেকে ১৩ সেপ্টেম্বর তারিখে ছয় সদস্যের ন্যাক পরিদর্শক দল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শন করেন। এই পরিদর্শন করার পরে আবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পঠনপাঠনের মানের মূল্যায়ন করবে। তবে এই টিম এখানে এসে ফি কাঠামো নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বলে সূত্রের খবর। এভাবে বছরের পর বছর কী করে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় চলবে, সেটা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে ওই দলের প্রতিনিধিরা।
আরও পড়ুন: শিশুর মায়ের পোশাক খোলার চেষ্টা সরকারি হাসপাতালে, শ্লীলতাহানির অভিযোগে গ্রেফতার ওয়ার্ড বয়
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ফি কেমন তা জানতে চান এই পরিদর্শক দলের প্রতিনিধিরা। তখন তাঁদের জানানো হয় কলা, বিজ্ঞান এবং ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে পড়তে বার্ষিক টিউশন ফি লাগে যথাক্রমে ৯৫০ টাকা, ১৫৫০ টাকা এবং ২৪৫০ টাকা। সামান্য কিছু হেরফের হয় ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে। এখানের হস্টেল ফি মাসিক ২৫ টাকা। রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে আর্থিক সাহায্যের পরিমাণ এখন কমে আসার ফলে বিশ্ববিদ্যালয় তীব্র আর্থিক কষ্টের মধ্যে রয়েছে। ফি বাড়ানোর বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার সুপারিশ এসেছে। কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয়নি বলে অভিযোগ♓। পূর্বতন উপাচার্য সুরঞ্জন দাস প্রাক্তনীদের কাছে আর্থিক সাহায্যের আবেদন পর্যন্ত করেছিলেন। প্রাক্তনীরা সেই সাহায্যের জন্য এগিয🦩়েও আসেন।