দলের বিক্ষুব্ধদের নিয়ে পিকনিক করেছেন সাংসদ শান্তনু ঠাকুর। এনিয়ে ইতিমধ্যে নানা কানাঘুষো শুরু হয়েছে। এদিকে সেই বিদ্রোহীদের বাগে আনতে কার্যত হিমসিম খাচ্ছে বঙ্গ বিজেপি। আপাতত বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার ও রীতেশ তিওয়ারিকে দলবিরোধী কাজের অভিযোগে শোকজ করেছে রাজ্য বিজেপি। আর তারপরই সূত্রের খবর, শোকজের কথা জানার পরই নাকি একেবারে সটান ঠাকুরবাড়িতে হাজির হন জয়প্রকাশ। তিনি সাংসদ শান্তনু ঠাকুরকেও গোটা বিষয়টি নিয়ে আপডেট দিয়েছেন। পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে শলা পরামর্শ করেছেন। আর সবটাই হয়েছে একেবারে একেবারে গোপনে। সূত্রের খবর সবরকম পরিস্থিতিতেই জয়প্রকাশের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন শান্তনু ঠাকুর। এমনটাই জানা গিয়েছে। সেক্ষেত্রে এটা কার্যত পরিষ্কার যে শোকজের পরেও বিজেপির অন্দরে বিদ্রোহ কমবে না। তার সঙ্গে বিদ্রোহীদের সঙ্গে নিয়ে পিকনিকও বাড়তে পারে বিজেপির অন্দরে। সেই পিকনিকে এবার আর কোন নতুন মুখেদের দেখা যাবে তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। তবে তার থেকেও বড় প্রশ্ন এরপর ঠিক কী করবেন জয়প্রকাশ মজুমদার ও রীতেশ তিওয়ারি? ইতিমধ্যে মুখ খুলেছেন রীতেশ। তিনি জানিয়েছেন, আমার কাছে শোকজের চিঠি আসার আগে তা সংবাদমাধ্যম কীভাবে জানতে পারল? দলের শীর্ষনেতারাই তো শৃঙ্খলাভঙ্গের কাজ করছেন। কিন্তু জয়প্রকাশ সরাসরি সংবাদমাধ্যমের সামনে আসতে চাননি। তবে সূত্রের যাঁর আহ্বানে তিনি দিন কয়েক আগে মিটিংয়ে হাজির ছিলেন সেই শান্তনু ঠাকুরের পরামর্শ মেনেই যাবতীয় পদক্ষেপ নেবেন। আর এদিনের গোপন বৈঠক কার্যত তারই ইঙ্গিতবাহী।