কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। তাঁর কাছেও ক্রেডিট কার্ড নেওয়ার জন্য অনবরত ফোন আসছে। কার্যত তিতিবিরক্ত হয়ে যাচ্ছেন তিনি। কত আর সহ্য করা যায়। একেবারে যখন তখন ফোন। আপনার নামে ক্রেডিট কার্ড আছে? নেবেন? সাধারণ মানুষ তো তিতিবিরক্ত হয়ে যান এই ফোনের জ্বালায়। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হল বিচারপতির নাম। তাঁর কাছেও এই ধরনের ফোন আসছে ক্রমাগত। যার জ্বালায় তিনি একেবারে তিতিবিরক্ত হয়ে গিয়েছেন। এজলাসে বসেই খোদ বিচারপতি এই প্রসঙ্গ তোলেন। রাজ্য়ের কৌশলিকে তিনি বলেন, প্রতিদিন সকাল থেকে সাত আটবার করে দুটো ব্যাঙ্কের নামে ফোন করা হচ্ছে। এটা রীতিমতো হেনস্থার পর্যায়ে চলে গিয়েছে। দয়া করে কিছু একটা করুন। এদিকে উপস্থিত আইনজীবীদেরও দাবি তাঁরাও এনিয়ে তিতিবিরক্ত। বিচারপতি বলেন, ব্য়াঙ্কের লোন ও ক্রেডিট কার্ড বলে রোজ ফোন করছে। হেনস্থা হচ্ছি। এমনকী নম্বর ব্লক করলে অন্য কোনও নম্বর থেকে সেই একইভাবে কল আসছে। আবার কোনও কোনও নম্বর চিহ্নিত পর্যন্ত করা যাচ্ছে না। গত সপ্তাহ দুয়েক ধরে ফোনের জ্বালায় চরম নাজেহাল হচ্ছি। কার্যত এই ফোনের জ্বালায় বিরক্ত বিচারপতি। তবে সাধারণ মানুষের কাছে এই ফোন যেন আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। বার বার ফোনে বলা হচ্ছে আপনার নামে প্রি অ্য়াপ্রুভ লোন আছে। স্যার নিয়ে নিন। ভিড় বাসে যাচ্ছেন। বেজে উঠছে ফোন। কোনওরকমে ফোন ধরলেই শুনতে পেলেন ওই ডাক। অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মিটিংয়ে আছেন কিংবা ঘুমোচ্ছেন। আচমকাই বেজে উঠল ফোন। ওপ্রান্ত থেকে ভেসে এল কণ্ঠস্বর, স্যার ব্য়াঙ্ক থেকে বলছি। ক্রেডিট কার্ড আছে। কিন্তু কোথায় জানাবেন এই ফোনের কথা সেটা বুঝতে পারেন না অনেকেই। কীভাবে এই ফোনের জ্বালা বন্ধ করা যায় সেটাও বুঝতে পারেন না অনেকেই। সেক্ষেত্রে এবার আর শুধু সাধারণ মানুষ নন, খোদ বিচারপতির কাছেও এই ধরনের ফোন আসে। এটা অত্যন্ত জানা গেল। আর এই ফোনের জ্বালা থেকে বাঁচার রাস্তা খুঁজছেন তিনিও।