কালীঘাটের কাকু। বহু চর্চিত নাম। আসল নাম সুজয় কৃষ্ণ ভদ্র। কেন্দ্রীয় এজেন্সি গ্রেফতার করেছিল তাকে। এবার সেই কাকুর নানা কারবারের খোঁজ পাচ্ছে ইডি। আর সেই পরিপ্রেক্ষিতেই এবার শহরে তল্লাশি। এজেসি বোস রোড, প্রিন্স আনোয়꧃ার শাহ রোড ও ক্যাম🦩াক স্ট্রিটের অফিসে হানা দিয়েছে ইডি। সূত্রের খবর, এগুলি মূলত নির্মাণকারী সংস্থার অফিস। রিয়েল এস্টেট ব্যাবসার সঙ্গে যুক্ত। কাকুর টাকা এই সমস্ত সংস্থায় বিনিয়োগ করা হয়েছিল কি না সেটা খতিয়ে দেখছেন ইডির আধিকারিকরা।
এদিকে কালীঘাটের কাকুর নাকি ১০০টি ব্যাไঙ্ক অ্যাকাউন্ট ছিল। সেই অ্যাকাউন্টগুলির উপরেও নজর রাখছেন൩ গোয়েন্দারা। তিনি মূলত কোথায় বিনিয়োগ করতেন, কাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন, গোটা নিয়োগ দুর্নীতির মিডল ম্যান হিসাবে তিনি কাজ করতেন কি না সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে ।
এদিকে সম্প্রতি অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন কাকু। এরপর তাকে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কার্ডিওয়ল✅জি বিভাগে ভর্তি করা হয়েছে তাকে।
মূলত নিয়োগ দুর্নীতির টাকা ঠিক কোথায় বিনিয়োগ করা হয়েছিল তারই খোঁজ চালাচ্ছেন ইডির গোয়েন্দারা। আর সেই খোঁজ চালাতে গিয়ে একে একে রাঘব বোয়ালদের খোঁজ মিলছে। এদিকে ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এখান থেকে সূত্র মিলে গেলে আরও বড় বিপাকে পড়তে𓆏 পারেন কালীঘাটের কাকু। তবে তিনি আর কোথায় বিনিয়োগ করেছেন সেটা খতিয়ে দেখছেন ইডির আধিকারিকরা।
তবে নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে ধৃত তাপস মণ্ডলই প্রথমে কালীঘাটের কাকুর আসল নাম সামনে আনেন। কালীঘাটের কাকুর কাছে পেমেন্ট দিতে হবে বলে নাকি বার বার বলতেন কুন্তল ঘোষ। এমনটাই দাবি করা হয়েছিল। কিন্তু কুন্তল নিজে অবশ্য সেকথ🍷া স্বীকার করেনি।
তবে গ্রেফতার হওয়ার আগে অবশ্য় একে🌠বারে অন্য মেজাজে থাকতেন কালীঘাটের কাকꦉু।
অভিযোগ উঠছে, শাসকদলের তাবড় নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন কালীঘাটের কাকু। এমনকী মানিক ভট্টাচার্যের সঙ্গে সুজয় কৃষ্ণ🀅ের হোয়াটস অ্যাপ চ্যাটও এসেছে ইডির হাতে। সেই সঙ্গেই কুন্তলের সঙ্গেও যে সুজয়কৃষ্ণের যোগাযোগ ছিল সেটাও ক্রমেই প্রকাশ্য়ে আসছে। সেই সঙ্গেই বড় প্রশ্ন, আর কার সঙ্গে যোগাযোগ ছিল সুজয়কৃষ্ণের? শাসকদলের আর কোন শীর্ষ নেতার সঙ্গে যোগ ছিল সুজয়কৃষ্ণের? সেটাও জানতে চায় ইডির।
এদিকে নামে, বেনামে একাধিক সংস্থার সঙ্গে যোগ ছিল ⛎সুজয়কৃষ্ণের। এমনটাই দাবি করা হচ্ছে। এমনকী শান্তনু বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের স্ত্রীর সংস্থাতেও বিনিয়োগ করেছিলেন কাকু। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে কীভাবে এত টাকা পেতেন কালীঘাꩲটের কাকু? সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।