আবার বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র বিক্ষোভ। আর তার জেরে উপাচার্যকে হেনস্থা হতে হল বলে অভিযোগ। এমনকী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জোর করে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল ছাত্র নেতাদের বিরুদ্ধে। কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে এমনই অভিযোগ উঠলেও তা অস্বীকার করেছে তৃণমূল ছাতಞ্র পরিষদ। এই আবহে দু’সপ্তাহ ধরে বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। এখন পরিস্থিতি বেগতিক হওয়ায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দ্বারস্থ হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। আর রাজ্যপালের কাছে পদত্যাগ করতে চেয়ে চিঠওি পাঠালেন বলে সূত্রের খবর।
এদিকে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের অভিযোগ, কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় তহবিল থেকে ৮০ লক্ষ থেকে ১ কোটি টাকা আইন🐟ি খাতে খরচ হয়েছে। সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের টাকা কোথায় খরচ হল তার শ্বেতপত্র বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ প্রকাশ করুক। এই দাবি নিয়ে আন্দোলন শুরু হয়। কিন্তু আন্দোলনের শুরু থেকে উপাচার্য দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেননি। ১৬ দিন পর সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেছিলেন উপাচার্য। যদিও তৃণমূল ছাত্র পরিষদের পক্ষ থেকে উপাচার্যের ঘর ঘেরাও করা হয় এবং সেই ঘরের বিদ্যুৎ কেটে দেওয়া হয় বলে পাল্টা অভিযোগ তোলা হয়েছে। আজ, মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ে যাননি উপাচার্য। বাড়ি থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজকর্ম করেন। আর উপাচার্যকে হেনস্থা করার প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে অধ্যাপক থেকে শিক্ষাকর্মীরা কালো ব্যাজ পরেন।
আরও পড়ুন: ‘কাগজ তো কখনও ম❀িথ্যে বলবে না’, বাংলাকে বঞ্চনা নিয়ে নির্মলাকে চ্যালেঞ্জ অভিষেকের
অন্যদিকে উপাচার্য দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, আগে যিনি উপাচার্য বা প্রশাসক💧 ছিলেন তাঁদের লিটিগেশনেরই আইনি লড়াই চলছে। পিটিশন বা মামলাকারী তাঁরাই। কিন্তু আন্দোলনরত ছাত্রছাত্রীরা সেটা মানতে নারাজ। উপাচার্যকে ঘিরে বিক্ষোভ এবং শারীরিক নিগ্রহ করা হয়েছে। এই ঘটনায় তিনি আতঙ্কিত। এখন বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতে ভয় পাচ্ছেন। উপাচার্য বলেন, ‘বাড়িতে বসে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ করছি। পদত্যাগের ইচ্ছাপ্রকাশ করে রাজ্যপালের কাছে আবেদন করেছি। ওখানের পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়ায় মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থও হয়েছি।’
এছাড়া উপাচার্য ব্যক্তিগত কাজে বিশ্ববিদ্যালয়ের গাড়ি ব্যবহার করছেন। সাংসদ কোটার টাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের খাতে ঠিকঠাক ব্যবহার করা হয়নি বলে অভিযো🎉গ তুলেছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। এই মতবিরোধ নিয়ে বৈঠকে না বসে উপাচার্যকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখায় টিএমসিপি। পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত হয় যে, পড়ুয়াদের হাতে উপাচার্য আক্রান্ত হন বলে অভিযোগ উঠেছে। যা স্বীকার করেছে টিএমসিপি। কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, যেহেতু উপাচার্য রাজ্যপাল দ্বা♛রা নিয়োগ হয়েছেন, তাই তৃণমূল ছাত্র পরিষদ বিশ্ববিদ্যালয়ের পঠনপাঠনকে বিঘ্নিত করার চেষ্টা করছে।