গার্ডেনরিচ কাণ্ডের পরে বেআইনি নির্মাণ রুখতে তৎপর হয়েছে কলকাতা পুরসভা। বেআইনি নির্মাণ নিয়ে এবার আরও কড়া পদক্ষেপ করল কলকাতা পুরসভা। এবার থে𓆏কে বেআইনি নির্মাণের কোনও অভিযোগ পাওয়া গেলেই তড়িঘড়ি বিদ্যুৎ, জল এবং নিকাশি লাইনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিতে হবে। শুধু তাই নয়, বাড়ি এমনকী যে কোনও নির্মাণ হলে সে ক্ষেত্রে রেজিস্ট্রেশনের অনুমোদন দেওয়া হবে না বলে পুরসভা তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ বেআইনি নির্মাণ এবার আসবে প্রকাশ্যে, কলক⛎াতা পুরসভা 🎶নিয়ে আসছে নয়া ওয়েবসাইট
কলকাতা পুরসভার সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার এই মর্মে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন কলকাতা পুরসভার কমিশনার। বিজ্ঞপ্তিতে বেআইনি নির্মাণের ক্ষেত্রে এই সমস্ত সংযোগ 𒈔বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে সিএসসিকেও🔜 এই নির্দেশিকা পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেক্ষেত্রে বলা হয়েছে, যদি কোনও নতুন বাড়ি বা ফ্ল্যাটে বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য আবেদন জানানো হয় তাহলে সেক্ষেত্রে সেই নির্মাণ বেআইনি কিনা তা জানতে হবে। তারপরে বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে হবে। এ বিষয়ে সংস্থার ম্যানেজিং ডিরেক্টরকে (ডিস্ট্রিবিউশন) চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন কলকাতা পুরসভার কমিশনার।
এছাড়াও সম্পত্তি নিবন্ধীকরণ দফতরকেও চিঠি দিয়েছেন পুর কমিশনে। তাতে বলা হয়েছে, নতুন বাড়ি, ফ্ল্যাট রেজিস্ট্রেশনের সময় সেগুলি বেআইনি কিনা, তা খতিয়ে দেখতে হবে। যদি বেআইনি হয়, তাহলে সেক্ষেত্রে রেজিস্ট্রেশন করা যাবে না। একাংশের মতে, পুরসভার এই বিজ্ঞপ্তিতে ত্রুটি রয়েছে। সেক্ষেত্রে পুরসভার কমিশনার বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন, একতলার বাড়ি হল বৈধ। তাহলে সেক্ষেত্রে বহুতল অবৈধ হলে সেখানে যদি জল এবং বিদ্যুতের স🗹ংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয় তাহলে গোটা বাড়িতে তা বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। এই অবস্থায় আবাসিকরা এমন সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হতে পারেন।
তবে আধিকারিকদের অন্য অংশের মতে, আগে বেআইনি বাড়ি ভাঙার ওপর জোর দেওয়া হত। তবে বিদ্যুৎ, জলের লাইন এবং নিকাশি নালার সংযোগ বিচ্ছিন্ন হলে সেক্ষেত্রে বেআইনি নির্মাণের প্রবণতা কমবে। ফলে পুরসভার এই নির্দেশকে স্বাগত জানিয়েছেন আধিকারিকদের একাংশ। পুর কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, এই বিজ্ঞপ্তিকে চ্যালেঞ্জ করে কেউ আদালতে গেলে পালটা পুরসভাও নিজের বক্তব্য জানাবে। এর পাশাপাশি বিল্ডিং দফতরের ডিဣজিকে ১৫ দিন অন্তর অন্তর জল সরবরাহ দফতর এবং নিকাশি দফতরের ডিজিকে বেআইনি বাড়ির তালিকা সরবরাহ করতে বলা হয়েছে। এই সমস্ত তালিকা দেখে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার নির্দেশ দেবেন সংশ্লিষ্ট বিভাগের ডিজিরা।