দুর্গাপুজোকে কেন্দ্র করে প্রতিবছর হোর্ডিং, ব্যানারে ছেয়ে যায় কলকাতা। তা থেকে দৃশ্য দূষণ হয়। তার ফলে সমস্যা হয় অনেকেরই। এর পাশাপাশি পথ দඣুর্ঘটনার সম্ভাবনাও থাকে। তাই পুরসভার তরফে বিজ্ঞাপনী সংস্থাগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল ২ নভেম্বরের মধ্যে অর্থাৎ বৃহস্পতিবারের মধ্যে এই সমস্ত হোর্ডিং, ব্যানার খুলে ফেলতে হবে। কিন্তু, তারপরও দেখা যায় কলকাতার বহু জায়গায় হোর্ডিং, ব্যানার খোলা হয়নি। এই অবস্থায় কড়া পদক্ষেপ করল কলকাতা পুরসভা। সময়ের মধ্যে যে সমস্ত সংস্থা এখনও নিজেদের বিজ্ঞাপনী হোর্ডিং খোলেনি তাদের চার গুণ বেশি টাকা দিতে হবে বলে বলে জানিয়েছে পুরসভা।
আরও পড়ুন: পুজোয় ব্যানার, 📖হোর্ডিং থেকে দৃশ্যদূষণ রুখতে কঠোর সিদ্ধান্ত নিল কলকাতা 💦পুরসভা
পুরসভার পরিকল্পনা ছিল কালীপুজোর আগে শহরকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা। কিন্তু, আগামী ১২ নভেম্বর কালীপুজো। এই অবস্থায় বিজ্ঞাপনী সংস্থাগুলির উদাসীনতার জন্য কলকাতাকে অদৌও আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে কিনা তাই নিয়ে ধন্দে রয়েছেন পুরসভার আধিকারিকরা। ইতিমধ্যেই এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য কলকাতা পুরসভার মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমারকে নির্দেশ দিয়েছেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। প্রসঙ্গত, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে হোর্ডিং, ব্যানার খোলা হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে শুক্রবার রাতে পুরসভার তরফে অভিযান চালানো হয়। যার মধ্যে একটি শিয়ালদা থেকে বিধানসভা সরণি , টালা বারোয়ারি পর্যন্ত ঘুরে দেখে এবং অন্য দলটি খিদিরপুর এলাকা পরিদর্শন করে। সেখানে আধিকারিকরা দেখতে পান বেশ কয়েকটি জায়গায় হোর্ডিং রয়েছে। এর পাশাপাশি দক্ষিণ কলকাতার গড়িয়াহাট, যাদবপুরেও হোর্ডিং রয়েছ♌ে কিনা তা খতিয়ে দেখবে পুরসভা। মেয়র ফিরহাদ হাকিমের এলাকা চেতলা অগ্রণী থেকে ইতিমধ্যে হোর্ডিং খোলা হয়েছে। এ বিষয়ে মেয়র জানান, তিনি তাঁর নিজের এলাকায় বিজ্ঞাপনের হোর্ডিং সরিয়ে দিয়েছেন। মেয়রের বার্তা, রাস্তার দুপাশ হোডিংয়ের গোডাউন নয়। কালীপুজোতে অনেকে বিজ্ঞাপন দেবেন। তাই এতদিন ধরে বিজ্ঞাপন রেখে দেওয়ার কোনও মানে নেই।