কলকাতা হাই কোর্ট শুক্রবারই জানিয়ে দেয় যে কেন্দ্রীয় বাহিনী ছাড়াই সম্পন্ন হবে কলকাতার পুরভোট। তবে সেই ক্ষেত্রে অশান্তির খবর সামনে এলে যে তার জন্য দায়ী হবেন কলকাতাপ নগরপাল, তাও জানিয়েছিল উচ্চ আদালত। আর এই নির্দেশের পরই ময়দানে নেমে নিরাপত্তার বিষয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে তদারকি করতে দেখা গেল পুলিশ কমিশনার সৌমেন মিত্রকে। পুরভোটের জন্য বাহিনীর প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে কলকাতার সবকটি ডিসি অফিসে নিজে পৌঁছে যান কমিশনার। সিপি সৌমেন মিত্র বলেন, ‘নির্বাচনের জন্য আধিকারিকদের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখে তাঁদের সঙ্গে সাক্ষাত করছি। আমরা নির্বাচনের জন্য তৈরি। অনেকগুলি নির্বাতনে কাজ করেছি আমরা। এই ভোটও শান্তিপূর্ণ ভাবেই সম্পন্ন হবে। রাজ্য পুলিশের বাহিনী ইতিমধ্যেই চলে এসেছে। শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের লক্ষ্যে প্রতিটি ডিসি অফিসে গিয়ে কর্মীদের তাঁদের দায়িত্ব বুঝিয়ে দিচ্ছি।’এদিকে শুক্রবার বিকেল ৫টার পর শহরে পুরভোটের প্রচার সম্পন্ন হয়েছে। কলকাতায় সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পুরভোট করতে ৪৮ ঘন্টা আগে থেকেই শহরে জারি হয়েছে ১৪৪ ধারা। ১৪৪টি ওয়ার্ডের প্রশাসনিক এলাকায় বহিরাগতদের প্রবেশ বন্ধ করতে বিভিন্ন জায়গায় চলছে তল্লাশি। রবিবার শহরজুড়ে ২৩ হাজারেরও বেশি রাজ্য ও কলকাতা পুলিশের সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন করা হবে। অশান্তি ঠেকাতে অতিরিক্ত পুলিশ বাহিনী ও র্যাফ নামানো হচ্ছে। বহিরাগতদের অনুপ্রবেশ রুখতে রাস্তায় যেমন চলছে নাকা চেকিং, তেমনই নদীপথেও চলছে কড়া নজরদারি। বন্দর এলাকায় চলছে টহলদারি। নামানো হয়েছে ভ্রাম্যমান পুলিশ ও টহলদারি কুইক রেসপন্স টিম।