বিগত বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরে কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গে ধারাবাহিক ভাবে তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এই আবহে বিদ্যুতের চাহিদা বেড়েছে। বিশেষ করে কলকাতায় এসি চালানোর হিড়িক বেড়ে যাওয়ায় দেখা দিয়েছে বিদ্যুতের সংকট। এই আবহে পরিস্থিতি সামাল দিতে বিকল্প ব্যবস্থা করল সিইএসসি। বহুদিন পর বৃহস্পতিবার প্রথমবারের মতো কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের গণ্ডি ছোঁয়নি। তার আগে লাগাতার ৪০ ডিগ্রি বা তার বেশি থেকেছে তিলোত্তমার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। এই আবহে এসি চালানোর হিড়িক বেড়েছে। জলের চাহিদা বৃদ্ধির ফলে পাম্প বেশি চলছে। সব মিলিয়ে বিদ্যুতের চাহিদা শহরে বেড়ে গিয়েছে বহু গুণ। (আরও পড়ুন: ভাগাভাগ♈ি হলেও ৬ বছর 'লড়াই' নয় গোদরেজ পরিবারে, ব্যতিক্রম শুধু একটি ক্ষেত্রে)
আরও পড়ুন: কলকাতায় মাথাপিছু ১৫০ লিটার থেকে জলের চাহিদা বেড়ে ৪৫০! ꧋সঙ্গে নামছꦐে গঙ্গার জলস্তর
আরও পড়ুন: ঢুকছে স♔াগরের বাতাস, তাপপ্রবাহ উধাও হয়ে দক্ষিণবঙ্গে ভারী বৃষ্টি! কবে? জানাল IMD
এই আবহে বিদ্যুতের চাহিদা সামাল দিতে ভিনরাজ্য থেকে ১০০টি জেনারেটর আনিয়েছে কলকাতার বিদ্যুৎ সরবরাহকারী সংস্থা সিইএসসি। বিদ্যুতের চাপ সামলাতে না পারার জেরে কলকাতার বহু জায়গায় গত কয়েকদিনে লোডশেডিংয়ের সমস্যা হয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে। এই আবহে বিদ্যুৎ সরবরাহ যাতে ব্যাহত না হয়, তার জন্যেই বিকল্প ব্যবস্থা করেছে সিইএসসি। জানা গিয়েছে, গত ১৯ এপ্রিল তাপপ্রবাহ শুরু হতেই কলকাতায় এসে পৌঁছেছিল ১০০টি জেনারেটর এবং ট্রান্সফর্মার। এর মধ্যে ২০টি এসেছিল মুম্বই থেকে। এই আবহে যেখানে পাওয়ার কমে যাচ্ছে বা বিদ্যুৎ চলে যাচ্ছে সেখানকার পরিস্থিতি সামাল দিতে এই জেনারেটরগুলি ব্যবহার করা হচ্ছে। এছাড়াও এবার বিদ্যুৎ বিভ্রাটের সমস্যা সমাধানের জন্য সুপারভাইজারি কন্ট্রোল অ্যান্ড ডেটা অ্যাকুইজিশন সিস্টেমের ব্যবহার করছে সিইএসসি। (আরও পড়ুন: 'গলার কাঁটা' ব📖উবাজারে নিখুঁত 'সার্জারি' মেট🦂্রোর, ক'দিনেই সম্পন্ন বড় কাজ)
আরও পড়ুন: মূল সিগন্যাল লাল হলেও এগোচ্ছ🌸ে লোকাল ট্রেন! শিয়ালদায় বিপদের শঙ্কা💝য় নিত্যযাত্রীরা
প্রচণ্ড গরমে হঠাৎ বেড়ে যাওয়া বিদ্যুতের বিপুল চাহিদা মেটাতে সিইএসসির এই বিকল্প পন্থা সহায়ক হবে বলে আশাবাদী কর্তৃপক্ষ। এদিকে এপ্রিলের শেষ লগ্নে সিইএসসি এবং রাজ্য বিদ্যুৎ বন্টন নিগমের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন রাজ্যের বিদ্যুৎ মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। বিদ্যুৎ দফতরের সচিব শান্তনু বসুও উপস্থিত ছিলেন সেই বৈঠকে। সেই বৈঠক থেকেও মন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছিলেন, কোথাও কোনও যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দিলে সেখানে জেনারেটরের সাহায্যে বিদ্যুৎ পরিষেবা দিতে হবে। পাশꦰাপাশি লোকবল ও মোবাইল ভ্যানের সংখ্যা আরও বাড়ানোর জন্য সিইএসসি-কে বার্তা দিয়েছিলেন অরূপ।𝓡 এদিকে শুধুমাত্র সিইএসসি নয়, জেনারেটরের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ রি রাখার বিকল্প পথ খুলে রেখেছে পশ্চিমবঙ্গ বিদ্যুৎ বন্টন সংস্থাও। তাদের কাছে ৪৫০ টি জেনারেটর রয়েছে।