কলকাতাসহ দেশের আরও বেশ কিছু বড় শহর কার্যত নতুন কোভিড হটস্পটে পরিণত হয়েছে। কেন্দ্রের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত সপ্তাহে দেশে মোট ১২৯টি জেলায় ৫ হাজারেরও বেশি নতুন সংক্রমণ হয়েছে। মাথাপিছু সংক্রমণের নিরিখে কলকাতার স্থান ষষ্ঠ।এই তালিকায় প্রথম স্থানে রয়েছে হরিয়ানার গুরুগ্রাম। সেখানে প্রতি ১০ লাখ ব্যক্তি পিছু ১১,৬৯৫ জন সংক্রমিত হয়েছে। অন্যদিকে কলকাতায় সংখ্যাটা ৯,৪৯৪।বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য ভবনের বুলেটিন অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার রাজ্যে ১৮,৪৩১ জনের দেহে করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। যা এক নতুন রেকর্ড। সুস্থ হয়েছেন ১৭,৪১২ জন। আর মৃত্যু হয়েছে ১১৭ জনের। যা এখনো পর্যন্ত সর্বোচ্চ। কলকাতায় মৃত্যু হয়েছে ৩৩ জনের। উত্তর ২৪ পরগনায় ৩৬ জনের।বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রধান শহরগুলিতে সংক্রমণ বৃদ্ধির ফলে, রাজ্যগুলিতে আক্রান্তের সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এর কারণ হল মূলত শহরের ঘনবসতি। এছাড়া পার্শ্ববর্তী জেলা থেকে বহু মানুষ নিয়মিত যাতায়াত করেন। ফলে করোনা সংক্রমণ আরও ছড়িয়ে পড়ছে এভাবেই। পাশাপাশি ভিন্ন রাজ্য থেকেও বড় শহরগুলিতে যাতায়াতের সম্ভাবনা বেশি। এর আগের সপ্তাহে ৫ হাজারেরও বেশি নতুন সংক্রমণ-সহ জেলার সংখ্যা ছিল ১১৩টি। কিন্তু এক সপ্তাহেই সেটি বেড়ে দাঁড়াল ১২৯।পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃত্যুগত সপ্তাহে তার আগের সপ্তাহের তুলনায় এক লাফে ২৬% বেড়েছে প্রাণহানির সংখ্যা। এর মধ্যে গত সপ্তাহে সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি বেড়েছে ঝাড়খণ্ডে। এক সপ্তাহে সেখানে করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন ১,১০০ জন। এর মধ্যে এক-তৃতীয়াংশ মৃত্যুই রাঁচিতে।টিকাকরণ গত সপ্তাহে মাথাপিছু টিকাকরণের হার ১১.৪ % হয়েছে। তার আগের সপ্তাহে এটি ছিল ১০.৭% । ফলে সামান্য হারে বেড়েছে টিকাকরণ। কিন্তু, অনেকেই টিকা পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। বিশেষত CoWin অ্যাপে নিকটবর্তী কোনও কেন্দ্রে স্লট খোলা নেই বলেই দেখাচ্ছে বলে জানিয়েছেন অনেকেই।