রাত পোহালেই কলকাতা পুরসভার নির্বাচন। তাই শহরজুড়ে নিরাপত্তা আঁটোসাঁটো করা হচ্ছে। বিরোধী দল বিজেপি কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছে। কলকাতা হাইকোর্ট কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোটের আবেদন খারিজ করেছে। এই পরিস্থিতিতে শহরজুড়ে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা তৈরি করা হয়েছে। রাতে প্রত্যেকটি ডিসি অফিসে গিয়ে ভোটের নিরাপত্তা নিয়ে কথা বলেছেন পুলিশ কমিশনার সৌমেন মিত্র। ভোটের দিন তিনি নিজে রাস্তায় থাকবেন বলে সূত্রের খবর।এদিকে শহরের নানা জায়গায় নাকা চেকিং শুরু হয়েছে। শুরু হয়েছে তল্লাশি। মদের দোকান দু’দিন টানা বন্ধ থাকছে। ইতিমধ্যেই ডিসি অফিসের আধিকারিকদের দায়িত্ব বুঝিয়ে দিয়েছেন নগরপাল। নিরাপত্তায় যাতে কোনও ত্রুটিও না থাকে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে নির্দেশ দেন তিনি। প্রতিটি ওয়ার্ডে পুলিশবাহিনী পৌঁছে গিয়েছে। এখন থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে ওয়ার্ড ঘিরে ফেলার কাজ। অন্যদিকে শহরের অলিগলিতে শুরু হয়েছে পুলিশের রুটমার্চ। প্রতিটি বুথে সিসিটিভি ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। প্রতিটি বুথের ভিতরে এবং বাইরে রাখা হচ্ছে পর্যাপ্ত পরিমাণ পুলিশকর্মী। ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে চষে বেড়াবেন কলকাতা পুলিশ আধিকারিকরা। কলকাতার প্রতিটি হোটেলের রেজিস্টার খতিয়ে দেখা হচ্ছে। গোয়েন্দাদের নজরদারি থাকছে হাওড়া থেকে কলকাতাগামী লঞ্চ এবং ছোট নৌকার উপরও।আজ থেকেই ৭৮টি ক্লাসটার মোবাইল টহল দেবে কলকাতাজুড়ে। ১৮ জন ডিসি এবং তাঁদের অধীনে ৩৩ জন এসি পদমর্যাদার আধিকারিক সর্বত্র টহল দেবেন। বিশেষ বাহিনী রাখা হচ্ছে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার ও যুগ্ম পুলিশ কমিশনারদের সঙ্গে। কলকাতা পুরসভার নির্বাচন ও গণনার জন্য রাস্তায় গাড়ি পার্কিং নিষিদ্ধ করা হয়েছে। পুলিশের নিরাপত্তার বিন্যাস নিয়ে তৈরি রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে।