মহালয়ার আগে ‘শহিদ’ দলীয় কর্মীদের স্মৃতিতে বিজেপির তর্পণকে কেন্দ্র করে বুধবার সকালে উত্তেজনা ছড়ায় কলকাতার বাগবাজার ঘাটে। মঙ্গলবার রাতে বিজেপির বাঁধা মঞ্চ খুলে ফেলꦉতে নির্দেশ দেয় পুলিশ। পুলিশের দাবি, অনুমতি না নিয়েই সেখানে রাজনৈতিক কর্মসূচির আয়োজন করেছিল বিজেপি। বিজেপির পালটা দাবি, সামাজিক দূরত্ব মেনে আয়োজিত হিন্দুদের ধর্মীয় কর্মসূচিতে বাধা দিয়েছে রাজ্য সরকার। পরে গোলাবাড়ি ঘাটে পুলিশের নজর এড়িয়ে তর্পণ করেন বিজেপি নেতাকর্মীরা।
গত ১ বছরে নিহত দলীয় কর্মীদের স্মরণে এবছরও তর্পণের আয়োজন করেছিল বিজেপি। মহালয়ার আগের দিন বাগবাজার ঘাটে হওয়ার কথা ছিল সেই কর্মসূচি। তাতে হাজির থাকার কথা ছিল বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়, অরবিন্দ মেনন, মুকুল রায়, রাহুল সিনহাদের। সেই মতো মঙ𒉰্গলবার বাগবাজার ঘাটের সামনে বাঁধা হয়েছিল মঞ্চ। রাতে এসে সেই মঞ্চ খুলে দেয় পুলিশ।
পুলিশের দাবি, করোনা পরিস্থিতির মধ্যে বিনা অনুমতিতে কর্মসূচির আয়োজন করেছিল পুলিশ। সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কায় মঞ্চ খুলে দিয়েছে পুলিশ। পুলিশের দাবি মানতে রাজি নয় বিজেপি। তাদের দাবি, ই-মেইলে কর্মসূচির জন্য অনুমতি চাওয়া হয়েছিল।💖 কিন্তু কলকাতা পুলিশের তরফে কো🎀নও জবাব মেলেনি।
ব🍬ুধবার সকাল থেকে বাগবাজার ঘাট চত্বর ছয়লাপ হয়ে যায় পুলিশকর্মীতে। বাগবাজার ঘাটের ধারে কাছে কাউকে ঘেঁষতে দেননি তাঁরা। এরই মধ্যে মঞ্চ বাঁধার সামগ্রী গাড়িতে তুলে থাকেন ডেকরেটার্স সংস্𒊎থার কর্মীরা।
ওদিকে পুলিশের চোখ এড়িয়ে গোলাবাড়ি ঘাটে পৌঁছে যান কৈলাস, মুকুল-🌱সহ বিজেপি নেতারা। সঙ্গে ছিলেন বেশ কয়েকজন প্রয়াত বিজেপি কর্মীর পরিজনরা। গোলাবাড়ি ঘাটে তর্পণ করেন তাঁরা।
ঘটনায় রাজ্য সরকার ও মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়েছে বিজেপি। তাদের দাবি, আমরা শহিদ সেনানি ও বিজেপি কর্মীদের স্মরণে তর্পণ করতে এসেছি🌟লাম। কিন্তু হিন্দুদের অনুষ্ঠানে বাধা দেওয়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুরনো অভ্যাস। 𓆏এর আগে বিসর্জনেও বাধা দিয়েছেন তিনি। এর জবাব আগামী নির্বাচনে সাধারণ মানুষ দেবে।