শিশু পাচার চক্রের ৪ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে আনন্দপুর থানার পুলিশ। সেই ঘটনার তদন্তে নেমে চাঞ্চল্যকর তথ্য পেলেন তদন্তকারীরা। জানা গিয়েছে, গর্ভে সন্তান না আসা সত্ত্বেও ৯ মাস ধরে অন্তঃসত্ত্বা সেজে থাকত পাচার হ✨ওয়া ꩵশিশুর ক্রেতা মা। আর কখনও বালিশ দিয়ে আবার কখনও বেবি পাম্প যোগাড় করে অন্তঃসত্ত্বা সেজে থাকত তারা। তদন্তকারীরা আরও জানতে পেরেছেন, শিশু পাচার চক্রের সদস্যরা কোনও আইভিএফ সেন্টারের কর্মী। তারপরেই পুলিশ নিশ্চিত যে শহরের বিভিন্ন আইভিএফ সেন্টারের কর্মীরা এভাবে পাচার চক্র চালিয়ে যাচ্ছে। এই অবস্থায় কলকাতা পুলিশের নজরে রয়েছে শহরের বেশ কয়েকটি আইভিএফ সেন্টার ।
আরও পড়ুন: ২ লক্ষ টাকায় ১১ দিনের সন্তানকে বিক্রির অভি꧑যোগ বিধবা যুবতীর ব🌃িরুদ্ধে, গ্রেফতার ৪
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মূলত নিঃসন্তান দম্পতি আইভিএফ গুলিতে আসেন। সে ক্ষেত্রে শিশু পাচারের সঙ্গে যুক্ত সদস্যরা বিভিন্ন জেলা থেকে আসা নিঃসন্তান দম্পতিকে টার্গেট করত। তাদের বলা হতো চিকিৎসা না করে সন্তান পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এর জন্য চার পাঁচ লাখ টাকা নিত পাচারকারীরা সে ক্ষেত্রে কোনও দম্পতি রাজি হয়ে গেলে এই চক্রটি শিশু বিক্রিতে রাজি এমন কোনও মহিলার সঙ্গে যোগাযোগ করত। সেই মহিলাও রাজি হয়ে গেলে দম্পতির কাছ থেকে আগাম টাকা নিয়ে তাদের কলকাতায় আসতে বলা হত। কলꦛকাতা এসে ১১ মাসের জন্য তাদের বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকতে বলত চক্রটি। তারপর কলকাতায় এসে চিকিৎসার নামে থাকতে শুরু করত ক্রেতা মহিলা। এমনকী ক্রেতা মহিলা যে অন্তঃসত্ত্বা তা সকলকে বোঝ✤ানোর জন্য এই চক্রটি বেবি পাম্প জোগাড় করে দিত। আবার কখনও বালিশ বেঁধে রাখতে বলতো। এভাবেই মহিলাকে টানা ৯ মাস অন্তঃসত্ত্বা থাকতে বলা হত।
আনন্দপুর থানার পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়া পূর্ব মেদিনীপুরের ক্রেতা মহিলাও এভাবে অন্তঃসত্তা ছিলেন। তার শ্বশুরবাড়ির সকলে জানতেন ওই মহিলা অন্তঃসত্ত্বা। শুধু তাই নয়, কেউ এলে কীভাবে অন্তঃসত্💦ত্বা সেজে থাকতে হবে সেই প্রশিক্ষণও দেওয়া হতো মহিলাদের। এরপর বিক্রেতা মহিলা শিশুর জন্ম দেওয়ার পরে তার কাছ থেকে শিশুকে নিয়ে নিত পাচারকারীরা । শেষ পর্যন্ত ক্রেতা মহিলার কাছে চলে যেত শিশু। এভাবেই চলত গোটা চক্র। প্রায় তিন থেকে সাড়ে চার লাখ টাকা এই চক্রের হাতে থাকত। জানা গিয়েছে, এই চক্রটি এভাবে মুর্শিদাব𓆏াদ, মেদিনীপুর সহ বেশ কয়েকটি জেলার দম্পতিকে শিশু পাচারের ছক করেছিল।
জানা💃 গিয়েছে, মেদিনীপুরের ওই দম্পতি ১৫ বছর ধরে নিঃসন্তান ছিলেন। তারা বেহালা অঞ্চলে একটি আইভিএফ সেন্টারে এসেছিলেন। সেখানেই তাদের পরিচয় হয় আইভিএফ কর্মী লাল্টি দে’র সঙ্গে। ওই দম্পতি তার কাছ থেকে ৪ লাখ টাকায় শি✅শু কিনতে রাজি হয়। ওই চক্রের কথা মতোই ক্রেতা মহিলা অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার অভিনয় করেছিলেন। এই চক্রে আরও কারা জড়িত তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।