আরজি কর হাসপাতালের আশপাশে জমায়েতের উপরে বিধিনিষেধ জারি করল কলকাতা পুলিশ। শনিবার রাতের পুলিশের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়েছে যে আগামী সাতদিন শ্যামবাজার পাঁচমাথার মোড়, বেলগাছিয়া-সহ আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের আশপাশে ‘বেআইনি’ জমায়েতে🍬র (পাঁচজন বা তার বেশি) উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হচ্ছে। রবিবার (১৮ অগস্ট) থেকে আগামী ২৪ অগস্ট (শনিবার) পর্যন্ত বা পরবর্তী নির্দেশ জারি না হওয়া পর্যন্ত সেই বিধিনিষেধ কার্যকর হবে। সেইসময়ের মধ্যে যদি ‘বেআইনি’ জমায়েত করা হয়, তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ২২৩ ধারার আওতায় মামলা রুজু করা হবে। যে ধারার আওতায় কারাদণ্ড হতে পারে। গুনতে হতে পারে জরিমানাও।
কোন কোন ক্ষেত্রে ব্যবস্থা নেওয়া হবে?
কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের জারি করা সেই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতার ১৬৩ ধারার আওতায় প্রদত্ত ক্ষমতা প্রয়োগ করে সাতদিনের জন্য 'পাঁচজন বা পাঁচজনের বেশি কোনওরকম বেআইনি জমায়েত; লাঠি, কোনও বিপজ্জনক অস্ত্র বহন করা বা কলকাতার সংশ্লিষ্ট এলাকায় জনগণের শান্তি বিঘ্নিত করতে প💜ারে ও বিশৃঙ্খলা তৈরি করতে পারে', এমনꦍ কাজের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হল।
কোন কোন রাস্তায় বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে?
১) প🐭ূর্ব♔দিক: বেলগাছিয়া রোড/জেকে মিত্র রোড ক্রসিং।
২) পশ্চিম দিক: শ্যামবাজার পাঁচমাথার মোড়।
৩) উত্তর দিক: শ্যামবাজার পাঁচমাথার মোড় থেকে থেকে বেলগাছিয়া রোড/জেকে মিত্র রোড ক্রসিং পর্যন্💧ত বেলগাছিয়া রোডের উ🔥ত্তরমুখী ফুটপাত।
৪) দক্ষিণ দিক: শ্যামবাজার পাঁচমাথার মোড় থেকে থেকে বেলগাছিয়া রোড/জেকে মিত্র রোড⛎ ক্রসিং পর্যন্ত বেলগাছিয়া রোডে🐭র দক্ষিণমুখী ফুটপাত।
আর ওই চারটি রাস্তায় জমায়েতের উপরে যেদিন বিধিনিষেধ জারি করা হল, 🤡যেদিন আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতাল পর্যন্ত একটি মিছি𒈔ল যাওয়ার কথা ছিল। আরজি হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় দোষীদের শাস্তির দাবিতে সেই মিছিল করা হচ্ছিল (আরও একাধিক মিছিল হয়েছে)। সেই আবহে পুলিশের যুক্তি, চিকিৎসক-সহ স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে, শান্তি বজায় রাখতে ‘বেআইনি’ জমায়েত নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কারণ ‘হিংসাত্মক’ মিটিং-মিছিল হওয়ার যথেষ্ট সম্ভাবনা আছে।
শুক্রবারই হাইকোর্টে তুমুল ভর্ৎসিত হয়েছে পুলিশ
শুক্রবারই কলকাতা হাইকোর্টে তুমুল ভর্ৎসনার মুখে পড়েছে কলকাতা 🏅পুলিশ। গত বুধবার রাতে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে যে তাণ্ডব চলেছে, তা নিয়ে পুলিশের কাছে কেন আগেভাগে তথ্য ছিল না, তা নিয়ে চূড়ান্ত উষ্মাপ্রকাশ করেছে হাইকোর্ট।
হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ তো মন্তব্য করে যে কলকাতা পুলিশ যেখানে কথায়-কথায় ১৪৪ ধারাꦯ জারি করে, সেখানে সেদিন কেন পুরো এলাকা ঘিরে দেয়নি? পুরো তাণ্ডবের ঘটনাকে রাজ্য প্রশাসনের সম্পূর্ণ ব্যর্থতা ব♏লেও উল্লেখ করে হাইকোর্ট।