🥀 বড়সড় সাফল্য পেল কলকাতা পুলিশের স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ)। ফের বিহারে অভিযান চালিয়ে বেআইনি অস্ত্র কারখানার হদিশ পেল এসটিএফ। এই ঘটনায় প্রচুর পরিমাণে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারের পাশাপাশি তিনজনকে গ্রেফতার করেছেন গোয়েন্দারা। দীর্ঘদিন ধরেই এই কারখানায় বেআইনিভাবে আগ্নেয়াস্ত্র তৈরি করছিল পাচারকারীরা। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সেখানে বিহার পুলিশের সঙ্গে যৌথভাবে হানা দিয়ে তিনজনকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশের এসটিএফ। এছাড়াও আগ্নেয়াস্ত্র তৈরির প্রচুর কাঁচামাল উদ্ধার করেছে।
আরও পড়ুন: 🐭আগ্নেয়াস্ত্র কারখানার পর্দাফাঁস করল এসটিএফ, বিপুল অস্ত্র–সহ গ্রেফতার পাঁচ
ꦺএসটিএফ অভিযান চালিয়ে যে তিনজনকে গ্রেফতার করেছে তাদের নাম হল ধর্মেন্দ্র কুমার ওরফে ধরো (৩০), অভিষেক কুমার ওরফে ছোট (২৫) এবং বিকাশ কুমার ওরফে রাজা (২৩)। উদ্ধার হওয়া আগ্নেয়াস্ত্রগুলির মধ্যে রয়েছে তিনটি সিঙ্গল শট পিস্তল। এছাড়া আগ্নেয়াস্ত্র তৈরির জন্য ব্যবহৃত একটি লেদ মেশিন, একটি মিলিং মেশিন, একটি ড্রিলিং মেশিন উদ্ধার করেছে। পাশাপাশি আগ্নেয়াস্ত্র তৈরিতে ব্যবহৃত বিপুল পরিমাণ সরঞ্জাম, যন্ত্রপাতি এবং বিপুল পরিমাণ লোহার বার বা কাঁচামাল উদ্ধার করেছে। উন্নত আগ্নেয়াস্ত্র উৎপাদনের জন্য ব্যবহৃত হয়। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে এসটিএফ।
🧔যদিও বিহারে আগ্নেয়াস্ত্র তৈরি কারখানার হদিশ এই প্রথম নয়। এর আগেও বিভিন্ন সময়ে রাজ্য এবং কলকাতা পুলিশ বিহার পুলিশের সঙ্গে যৌথভাবে তল্লাশি চালিয়ে আগ্নেয়াস্ত্র তৈরির কারখানার হদিশ পেয়েছে। সাধারণত বাংলার বিভিন্ন জায়গায় প্রচুর পরিমাণে বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র পাচার করা হয়ে থাকে বিহারে। সেই সূত্র ধরেই বিহারে ওই আগ্নেয়াস্ত্র তৈরির কারখানায় হানা দিয়ে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশের এসটিএফ। উল্লেখ্য, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই উল্লেখ করেছিলেন বিহারের মুঙ্গের থেকে বাংলায় আগ্নেয়াস্ত্র ঢুকছে। এরপর বাংলায় পঞ্চায়েত ভোটের আগে রাজ্যে যাতে বাইরে থেকে এখানে বিস্ফোরক এবং আগ্নেয়াস্ত্রের লেনদেন না হয় তার জন্য তৎপর হয়েছিল পুলিশ। তারপরেই বিহারের বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে প্রচুর পরিমাণে বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র তৈরির কারখানার পর্দাফাঁস করেছিল পুলিশ।