শহরে পুলিশকে নিগ্রহের ঘটনা প্রায়ই ঘটে। বিশেষ করে রাতের কলকাতায় এই ধরনের ঘটনা বেশি ঘটে। এই কারণে কলকাতা পুলিশ বডি ক্যামেরা ব্যবহার করে থাকে। তবে কলকাতা পুলিশের অধীনে আসতে চলেছে ভ൩াঙড়। তাতে সংযোজন হতে চলেছে আরও ৮টি থানা এবং একটি ট্রাফিক গার্ড। এই অবস্থায় পুলিশ কর্মীদের উপর হামলার ঘটনা রোখার পাশাপাশি পুলিশকর্মীরা যাতে কারও সঙ্গে দুর্ব্যবহার না করেন সেদিকে নজর রাখতে চাইছে পুলিশকর্তারা। সেই কথা মাথায় রেখে আরও ৭০০টি বডি ক্যামেরা কিনতে চলেছে লালবাজার।যাতে বেশি সংখ্যক পুলিশ ডিউটির সময় ক্যামেরা ব্যবহার করে থাকেন সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে চাইছেন আধিকারিকরা।
আরও পড়ুন: বডি ক্যামেরার ফুটেজ কতদ💟িন, কীভাবে সংরক্ষণ করতে হবে? এসওপি চাল🅘ু করল লালবাজার
ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের জন্য কলকাতার মতোই ভাঙড় অঞ্চলে নাকা চেকিং চালাবে পুলিশ। রাতের শহরে অনেকে মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালিয়ে থাকে। সেক্ষেত্রে মদ্যপ গাড়ি চালক ও বাইক আরোহীদের বির🧸ুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই সে ক্ষেত্রে পুলিশের সঙ্গে গাড়ির চালক এবং বাইক আরোহীদের বচসা হতে পারে। তার ফলে পুলিশের আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও থাকছে। সেই কথা মাথায় রেখে ফলে পুলিশের আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাছাড়া, সামনেই পুজো। এই সময়েও মদ্যপ গাড়ি চালক ও বাইক আরোহীর সংখ্যা রাস্তায় বেশি থাকে। তাই ট্রাফিক পুলিশের পাশাপাশি রাস্তায় কর্তব্যরত পুলিশের গায়ে বডি ক্যামেরা যাতে থাকে সে বিষয়ের উপর জোর দিয়েছে লালবাজার। সে কারণেই এতগুলি বডি ক্যামেরা কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এই বডি ক্যামেরাগুলি কেনার জন্য কলকাতা পুলিশের তরফে ৮৭ লক্ষ ৫০হাজর টাকা ধার্য করা 🤡হয়েছে। এই। ক্যামেরাগুলিতে থাকছে আধুনিক প্রযুক্তি।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আধুনিক এই ক্যামেরাতে অডিয়ো ভিডিয়ো রেকর্ডিং করা যাꦍবে। ১২০ ডিগ্রি কোণ থেকে ১৫০ ডিগ্রি পর্যন্ত ভিডিয়ো রেকর্ডিং করা সম্ভব। তাছাড়া, ক্যামেরার লেন্সও উচ্চতর ক্ষমতা সম্পন্ন। এর সাহায্যে ৪০ ফুট দূরত্ব অবধি দৃশ্য রেকর্ড করা সম্ভব। রাতে কম আলোতেও স্পষ্ট ভিডিয়ো দেখা যাবে। ক্যামেরা পোশাকের সঙ্গে আটকে থাকবে। এই ক্যামেরায় বোতাম টিপলেই রেকর্ডিং শুরু হবে। তাছাড়া বর্ষায় ক্যামেরা নষ্ট হবে না এবং ঘামে নষ্ট হবে না। অর্থাৎ ক্যামেরাগুলি ওয়াটারপ্রুফ। এ ছাড়া যে বডি ক্যামেরাগুলি রয়েছে সেগুলি আরও আধুনিক হতে চলেছে।