কলকাতার হরিদেবপুরে দৃষ্টিহীনদের হোমে দুই নাবালিকাকে ধর্ষণের ঘটনায় ধৃꦗতদের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। যার মধ্যে হোমের মালিক তথা প্রতিষ্ঠাতা জীবেশ দত্ত এবং রাঁধুনি বাবলু কুণ্ডুকে ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। মামলা সূত্রে জানা গিয়েছে, এই দুই অভিযুক্ত, নাবালিকাদের ধর্ষণের ঘটনায় সরাসরি যুক্ত ছিল। এছাড়া হোমের প্রিন্সিপাল কাবেরী বসুকে ১৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। পুলিশের অনুমান, হোমের আরও বেশ কয়েকজন নাবালিকা নির্যাতনের শিকার হয়েছে। এ বিষয়ে তাদের সঙ্গে কথা বলবে পুলিশ।
আরও পড়ুন: খাস কলকাতায় দৃষꦚ্টিহীনদের হোমﷺে ২ নাবালিকাকে ১০ বছর ধরে ধর্ষণ, গ্রেফতার ৩
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, হোমের আরও কেউ নির্যাতনের শিকার হয়েছে কিনা তা জানার জন্য আদালতের অনুমতি নিয়ে মেডিকো-লিগ্যাল পরীক্ষাꦛ করানো হতে পারে। ধৃতদের বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রিন্সিপাল সরাসরি যুক্ত না থাকলেও তিনি বিষয়টি জানার পরেও চুপ ছিলেন। এমনকী বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। আলিপুরের পকসো আদালতের বিশেষ সরকারি আইনজীবী মাধবী ঘোষ জানান, আদালতের কাছে নির্যাতিতদের গোপন জবানবন্দী নেওয়ার জন্য আবেদন করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, এই ঘটনায় তদন্ত করছে লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগের স্পেশাল জুভেনাইল পুলিশ ইউনিট। সেক্ষেত্রে তদন্তের স্বার্থে অন্যান্য আবাসিকদের জিজ্ঞাসাবাদ করবে পুলিশ।
এদিকে, ধর্ষণের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পরে হোমের নাবালিকা এবং বালক মিলিয়ে মোট ৭৭ জনকে সরিয়ে অন্যত্র সরানো হয়েছে। জানা গিয়েছে, শুক্রবার ভোর অবধি আবাসিকদের অন্যত্র সরানো হয়। তবে এই ধরনের ঘটনায় শিশুরা মানসিক আঘাত পেয়েছে বলে মনে করছে শিশু সুরক্ষা কমিশন। এ নিয়ে ওই সমস্ত নাবালিকাদের কাউন্সে🍎লিং করানো উচিত বলে মনে করছেন শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্♏সন সুদেষ্ণা রায়। অন্যদিকে, এই ঘটনা পরেই আবাসিকদের আত্মীয় পরিজনদের খবর দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে কেউ আবাসিকদের বাড়ি নিয়ে যেতে চাইলে সে বিষয়ে ব্যবস্থা করা হবে। আবার বাকিদের শিশু কল্যাণ সমিতির বিভিন্ন হোমে রেখে স্কুলে পড়ানো হবে কিনা সে বিষয়টি নিয়ে পরে চিন্তা ভাবনা করা হবে বলে প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে। প্রসঙ্গত, গত মার্চ মাসে বাবলুর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল। কিন্তু পরে সে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়া হয় বলে তদন্তে জানতে পেরেছে পুলিশ। শুক্রবার তাদের আদালতে তোলা হলে অভিযুক্তরা একে অন্যের উপর দায় ঠেলে দেয়।