একুশের নির্বাচনের আগে এটাই ছিল টার্নিং পয়েন্ট। আর ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের আগে সেটায় আরও বড় আকার দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তাতেই রাজ্যের মহিলারা আরও উপকৃত হতে ꦦচলেছেন। কেন্দ্রীয় সরকারের বিমাতৃসুলভ আচরণের পর বাংলার মহিলাদের জন্য হাত বাড়ালেন মুখ্যমন্ত্রী। ২৫ বছর বয়স হলেই সারা বছর যে কোনও সময় এই প্রকল্পের জন্য আবেদন করতে পারবেন মহিলারা। অপেক্ষা করতে হবে না দুয়ারে সরকার শিবিরের জন্য। হ্যাঁ, এখন থেকে সারা বছরই লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের আবেদন করা যাবে।
বিষয়টি ঠিক কেমন হচ্ছে? নবান্ন সূত্রে খবর, নভেম্বর মাসের শুরুতে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছে। সেটি লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প নিয়ে। ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গ্রামের বাসিন্দারা কাছের বিডিও অফিসে গিয়ে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের আবেদনপত্র সংগ্রহ করতে পারবেন এবং জমা দিতে পারবেন। শহরের ক্ষেত্রে এসডিও অফিসে এই কাজ করা যাবে। কলকাতার বাসিন্দারা পুরসভার দফতরে গিয়ে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের আবেদন কর⛦তে পারবেন। এই বিষয়ে রাজ্যের নারী ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রী শশী পাঁজা এক সংবাদপত্রকে বলেন, ‘সাধারণ মানুষকে আরও সুবিধা দিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে সারা বছরই লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের আবেদনের করা যাবে।’
কেন এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে? রাজ্যের সর্বত্র সবসময় দুয়ারে সরকার শিবির বসে না। যখন বসে তখন আবেদন করা যায়। কিন্তু সময়ের অভাবে অনেক মহিলা তা করতে পারেন না। আর তাঁদের যখন সময় হয় তখন দুয়ারে সরকার শিবির বসে না। ফলে সরকারি এই প্রকল্প থেকে তাঁরা বঞ্চিত হন। তাই রাজ্যের সব মহিলাই যাতে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পান সে জন্যই এমন বি🌺জ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। এখন রাজ্যের ১ কোটি ৯৮ লক্ষ ৩৭ হাজাඣর ৩৩ জন মহিলা প্রত্যেক মাসে এই প্রকল্পের আওতায় আর্থিক সুবিধা পাচ্ছেন। আর নতুন করে এই সুবিধা পেতে চলেছেন ৯ লক্ষ ৫ হাজার ২৬৮ মহিলা। সুতরাং এই প্রকল্পে মোট উপভোক্তার সংখ্যা দাঁড়াবে ২ কোটি ৭ লক্ষ ৪২ হাজার ৩০১ জন। এই খাতে প্রত্যেক মাসে ১১৩৯ কোটি টাকা খরচ হয়।
আরও পড়ুন: খড়🍨গপুরে চলন্ত বাসে লাগল আগুন, জাতীয় সড়কে জ্বলছে গোটা বাস, আহত একাধিক
আর কী জানা যাচ্ছে? এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই মহিলারা এখন বিডিও–এসডিও অফিসে ছুটছেন। এই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প মহিলাদের মনে কতটা জায়গা করে নিয়েছে সেটা বুঝতে প্রতীচী ট্রাস্টকে দিয়ে একটি সমীক্ষা করাচ্ছে রাজ্য সরকার। সমীক্ষা করে তারা রিপোর্ট দেবেন বলে সূত্রের খবর। এই প্রকল্পের মাধ্যমে তফসিলি জাতি, উপজাতির মহিলারা মাসে হাজার টাকা পান। আর সাধারণ মহিলারা মাসে ৫০০ টাকা পান। সুতরাং একদিকে বছরে ১২ হাজার টাকা, অপরদিকে বছরে ৬ হাজার টাকা দেওয়া হয় রাজ্যের মহিলাদের। আগে কখনও এমন স🙈ুবিধা ছিল না। এই প্রকল্প রাজ্যের বিরোধীদের বেশ চাপে ফেলে দিয়েছে।