বন্দিদের যেমন অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে রাখার অভিযোগ ওঠে, তেমনি তাদের নিম্নমানের খাবার দেওয়ার অভিযোগ নতুন কিছু নয়। এই অবস্থায় বন্দিদের খাবারের গুণগতমান বৃদ্ধি করতে তাদের খাওয়ার খরচের বরাদ্দ বাড়াতে চলেছে কলকাতা পুলিশ। এতদিন বন্দিদের ম♚াথাপিছু দৈনিক ৪৫ টাকা খাবারের জন্য বরাদ্দ ছিল। এবার তা বাড়িয়ে করা হচ্ছে ৭৩ টাকা ৫০ পয়সা। স💯ে ক্ষেত্রে থানার ওসিদের ওপর পুরো বিষয়টির দায়িত্ব দিতে চাইছে লালবাজার। তবে এই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই।
আরও পড়ুন হা🎉সপাতালের শৌচাগার থেকে উদ্ধার বিচারাধীন 🎃বন্দির দেহ, ২ ওয়ার্ডেনকে শোকজ
তাদের প্রশ্ন পুরো বিষয়টি থানার কর্তাদের সদিচ্ছার উপর নির্ভর করবে। সে ক্ষেত্রে বন্দিরা আদৌও ভালো খাওয়ার সুবিধা পাবেন কিনা তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই। পাশাপাশি অনেকেই খাবারে কিছু মিশিয়ে দেওয়ার আশঙ্কাও করছেন। ফলে বন্দিদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। যদিও লালবাজারের কর্তাদের বক্তব্য এইভাবে অপরাধ করে পার পাওয়া যাবে না। থানাকে সে বিষয়ে নজর রাখতে হবে। একজন বন্দিও যে মানুষ এই বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে। এরকম ভাবনা চিন্তা করলে তাতে বিশেষ অসুবিধা হবে না বলে মনে করছেন পুলিশকর্তারা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আগে বন্দিপিছু খাবারের জন্য দৈনিক ৪৭ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল। তবে একটি সংস্থা ৪৫ টাকায় খাবার দিতে রাজি হয়েছিল। লালবাজারের ক্ষেত্রে অন্য একটি সংস্থা দরপত্র পেত। বর্তমানে বন্দিদের সকালে চা বিস্কুট দেওয়া হয়। দুপুরে দেওয়া হয়🥂 ভাত, ডাল, তরকারি। তবে কোনও কোনও দিন মাংস ও ডিম দেওয়া হয়। তবে কাঁটায় বিপত্তি থাকায় ভয়ে মাছ এড়িয়ে যাওয়া হয়।
কিন্তু, সে ক্ষেত্রে খাবারের গুণগত মান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। তার পরিপ্রেক্ষিতেই কলকাতা পুলিশের একটি দল বিষয়টি নিয়ে সমীক্ষা শুরু করে। তাতে জানা যায়, বরাতপ্রাপ্ত সংস্থা ৪৫ টাকায় খাবার দেওয়ার নাম করে আরও কম দামে খাবার বাজার থেকে তুলে এনে বন্দিদের দিচ্ছে। যার ফলে মানুষের মধ্যে জেলের খাবার নিয়ে ভুল ধারণা তৈরি 🥀হচ্ছে। এ বিষয়ে কলকাতা পুলিশের যুগ্ম-নগরপালের (অর্গানাইজ়েশন) কাছে একটি রিপোর্ট জমা পড়ে। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতেই নবান্নে বরাদ্দ বাড়ানোর জন্য প্রস্তাব দেন কলকাতা পুলিশের নগরপাল বিনীত গোয়েল। সেটি নবান্নে অনুমোদিত হয়। ফলে বন্দিদের খাবারের বরাদ্দ বাড়ানো হবে। দরপত্র ছাড়াও বন্দিদের জন্য খাবার পিছু অর্থ বরাদ্দ বাড়ায় স্বাভাবিকভাবে খরচও। সেক্ষেত্রে এক একটি থানায় ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে বলে🍒 মনে করা হচ্ছে।