আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা করায় পুলিশের কাজ। কিন্তু, অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় মদ্যপ অবস্থাতেই ডিউটি করে 𒁏থাকেন কিছু সংখ্যক পুলিশ। এই অবস্থায় মদ্যপায়ী পুলিশ কর্মীদের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার কাজে পাঠালে সে ক্ষেত্রে ভুল ভ্রান্তি হতে পারে। সেই কারণে ওই সমস্ত পুলিশ কর্মীদের চিহ্নিত করে তাদের জন্য কঠোর পদক্ষেপ করতে চাইছে লালবাজার। সেক্ষেত্রে ওই সমস্ত পুলিশ কর্মীদের অন্য কাজে লাগাতে চাইছে লালবাজার।
আরও পড়ুন: ৬০ পেরোলেই এবার কলকাতা পুলিশের বিশেষ ‘প্রণাম 𓆉সদস্য’ হওয়ার সুযোগ মিলবে
জানা গিয়েছে, এই সমস্ত পুলিশ কর্মীদের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার কাজে বা ভিভিআইপিদের নিরাপত্তার কাজে আর পাঠাতে চাইছে না লালবাজার। সেক্ষেত্রে তাদের পাঠালে সমস্যা হতে পারে বা খামতি থাকতে পারে। সেই কথা মাথায় রেখে এবার ওই সমস্ত পুলিশকর্মীদের ঘটনাস্থলে গিয়ে ডিউটির বদলে ডেস্ক জব বা অফিসে বসে কাজ দিতে চা🍒ইছে লালবাজার। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, লালবাজারের তরফে যুব কমিশনার (সদর) সন্তোষ পাণ্ডে একটি নির্দেশিকা জারি করেছেন। তাতে উল্লেখ করা হয়েছে মদ্যপায়ী পুলিশ কর্মীদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে শনাক্ত করতে হবে। সমস্ত থানাকে এই নির্দেশ দেওয়া হবে। এরপর পুলিশ কর্মীদের শনা💯ক্ত করে পদক্ষেপ করা হবে।
জানা গিয়েছে, একেবারে শীর্ষস্তরথেকে এই নির্দেশ পাঠানো হয়েছে লালবাজারে। এরপরে লালবাজারের তরফে নির্দেশিকা জারি করেছেন যুগ্ম কমিশনার সন্তোষ পাণ্ডে। ইতিমধ্যেই অধিকাংশ শাখায় এই নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে। শুক্রবার এই নির্দেশ জারি করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। পুলিশের এই নির্দেশ জারি হওয়ার পরে পুলিশ কর্মীদের একাংশ ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। একাংশের মতে, এমন নির্দেশ অপমানজনক। কারণ কলকাতা পুলিশের এত বছরের ইতিহাসে এর আগে কোনওদিন এই ধরনের নির্দেশিকা জারি করা হয়নি। এমন নির্দেশ জারি করার ফলে পুলিশের ভাবমূর্তি সমাজে নষ্ট হচ্ছে। তাছাড়া মদ্যপান করাটা নিতান্তই ব্যক্তিগত বিষয়। যদিও এ বিষয়ে কলকাতা পুলিশের শীর্ষ কর্তাদের কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে পুলিশ কর্মীদের একাংশের মতে, সরকারের শীর্ষস্তার থেকে এই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। কারণ অতীতে একাধিক ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে সরকার ক্ষুব্ধ হয়েছে। সেই সমস্ত ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এমন নির্দেশ জারি করা হয়েছꦬে।