কলকাতা এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার সংযোগস্থলে বাইপাস সংলগ্ন এলাকায় রাস্তার পরিসর কম থাকায় যানজট বাড়ছে। ট্রাফিক পুলিশ একটি সমীক্ষা করে জানতে পেরেছে, এই অংশে থাকা সেতু খুব বেশি চওড়া না হওয়ার ফলে যানজট হচ্ছে। এই অবস্থায় ওই সেতুটিকে চওড়া করার জ🌱ন্য নবান্নের কাছে চিঠি পাঠিয়ে প্রস্তাব দিতে চলেছে কলকাতা ট্রাফিক পুলিশ।
আরও পড়ুন: সিগন্যাল ভাঙলেই ধরে ফেল🅠বে ক্যামেরা, পাটুলি ক্রসিংয়ে আসছে বিশেষ প্রযুক্তি
সাধারণত বাইপাস চওড়া থাকলেও দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং কলকাতার সংযোগস্থলের রাস্তাটির পরিসর কম। এই অংশটিকে দক্ষিণের ‘বটল নেক’ বলছেন ট্রাফিক পুলিশের আধিকারিকরা। গড়িয়া ট্রাফিক গার্ডের পুলিশ জানতে পেরেছে, সকালের সময় বাদে অন্যান্য সময় এবং অফিস টাইমে এই অংশে প্রচুর যানজট হচ্ছে। সাধারণত নরেন্দ্রপুর এলাকায় থাকা বাইপাস থেকে প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে যান গড়িয়া স্টেশন রোড হয়ে বাইপাস থেকে কলকাতায় পৌঁছচ্ছে। এক্ষেত্রে গড়িয়া স্টেশন রোডের পরেই একটি ঢালাই ব্রিজ রয়েছে। সেই ব্রিজ পেরিয়ে বাইপাসে পৌঁছয় যান। একইভাবে সেই ঢালাই ব্রিজ হয়ে কলকাতা থেকে প্রচুর সংখ্যক যান নরেন্দ্রপুর, বারুইপুর, সোনারপুরে যায়। ট্রাফিক পুলিশ জানিয়েছে, ওই অংশের পরিসর ছোট হওয়ায় সে ক্ষেত্রে যানজট দেখা দেয়। এখানে গাড়ি আটকে যাওয়ার ফলে শহীদ ক্ষুদিরাম মেট্রো স্টেশনের নিচে এই ঢালাই ব্রিজে প্রচুর যানজট তৈরি হয়। আর তার রেশ পরে কলকাতাতেও। বিশেষ করে পাটুলি থানা এলাকার দিকে বেশি যানজট👍 দেখা যায়।
এই যানজট ছাড়াতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হয় পুলিশ কর্মীদের। প্রত্যেকটা ট্রাফিক গার্ডকে লালবাজারের তরফে নিজেদের সমস্যার কথা জানাতে বলা হয়েছে। সেই মতো প্রতিটি ট্রাফিক গার্ড নিজেদের সমস্যার কথা লালবাজারকে জানিয়ে থাকে। গড়িয়া ট্রাফিক গার্ড এই বিষয়ে সমীক্ষা করার পর তরফে লালবাজারের কা🧜ছে প্রস্তাব পাঠিয়েছে। এই অবস্থায় ট্রাফিক পুলিশের মতে, যদি ওই অংশ থেকে চওড়া করা যায় তাহলে সে ক্ষেত্রে যানজটের সমস্যা কমবে। প্রসঙ্গত বাড়ি থাকার ফলে ওই অংশটি ক্রমশ সরু হয়ে গিয়েছে। তার ফলে এই সমস্যা হচ্ছে। সেগুলি ভেঙে রাস্তা চওড়া করা গেলে যানজট নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। সেক্ষেত্রে বাড়ির বাসিন্দাদের যাতে পুনর্বাসন দেওয়া হয় সে বিষয়টিতেও চিন্তা ভাবনা করেছে পুলিশ।