কলকাতায় বাসের রেষারেষির জ𒀰েরে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। আবার পাটুলি ক্রসিংয়ে বাস এবং অটোর রেষারেষি নিত্য ঘটনা। যার ফলে দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকছে। সাধারণত পুলিশ থাকলে এই🔯 রেষারেষি কম হয়ে থাকে। তবে পুলিশ না থাকলেই রেষারেষি বেড়ে যায়। এমনকী বাস চালকরা ওই ক্রসিংয়ে সিগন্যাল মানেন না বলেও অভিযোগ। তাতে পথচারীদের বিপদের আশঙ্কা থাকছে। এই অবস্থায় এখানে বেপরোয়া বাস ও অটোকে নিয়ন্ত্রণ করতে পাটুলি মোড়ে রেড লাইট ভায়োলেশন ডিটেকশন (আরএলভিডি) ক্যামেরা বসাতে চলেছে লালবাজার।
আরও পড়ুন: শুধু ট্রাফিক পুলিশ নয়, সিভিকদেরও হেলমেট পরার নির্দেশ দ🎐ি⛄ল লালবাজার
কলকাতা ট্রাফিক পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই এলাকায় দুটি ক্যামেরা বসানো হবে। যার মধ্যে একটি ক্য🐟ামেরা বসানো হবে গড়িয়াগামী রাস্তায় এবং অপর ক্যামেরাটি বসবে রুবিগামী রাস্তায়। লালবাজার সূত্রে জানা গিয়েছে, নভেম্বরের মধ্যে এই ক্যামেরা বসানোর কাজ সম্পন্ন হয়ে যাবে। প্রত্যেকটি ক্যামেরায় থাকছে আরএলভিডি এবং অটোমেটিক নম্বরপ্লেট রেকগনিশন (এএনপিআর) ক্যামেরা। দুটি ক্যামেরা আলাদা আলাদাভাবে নজর রাখবে বলে জানা গিয়েছে। যার মধ্যে আরএলভিডি ক্যামেরা সিগন্যালের উপর নজর রাখবে। কখন লাল হচ্ছে কখন সবুজ হচ্ছে সেই বিষয়টির উপর নজর রাখবে এই ক্যামেরা। অন্যদিকে, এএনপিআর গাড়ি সিগন্যাল ভঙ্গ করছে কিনা সেই বিষয়টির উপর নজর রাখবে। একইসঙ্গে গাড়ি সিগন্যাল ভাঙলে সে꧃ ক্ষেত্রে নম্বর ধরা পড়বে এই ক্যামেরায় এবং সরাসরি সেই নম্বর চলে যাবে লালবাজারের কন্ট্রোল রুমে। সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট মালিকের কাছে কিছু সময়ের মধ্যেই জরিমানার মেসেজ চলে যাবে বলে লালবাজার সূত্রে জানা গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, সিগন্যাল না মা🌄নার জন্য কলকাতার বিভিন্ন ক্রসিং তো বটেই পাটুলির মোড়েও অনেক দুর্ঘটনা ঘটেছে। জানা গিয়েছে, সকাল এবং সন্ধ্যার দিকে পুলিশের নজরদারি থাকলেও রাতের দিকে নজরদারি অনেকটা কম থাকে। সে ক্ষেত্রে বাঘাযতীন ফ্লাইওভারের দিকে যেতে সিগন্যাল ভঙ্গ করেন অনেকেই। আবার তিন লে♋নের এই রাস্তায় নেমে পুলিশের পক্ষেও যান নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। সে ক্ষেত্রে দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকছে। সেই কারণে এই ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
ট্রাফিক পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্তমানে শহরে ৫০ টির বেশি ক্রসিংয়ে আরএলভিডি ক্যামেরা রয়েছে। সেগুলি স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে কাজ করে। প্রতিদিন এই ক্যামেরার মাধ্যমে দুশোর বেশি জরিমানা করা হয়। পুলিশের আশা, নতুন এই পদ্ধতির ফলে যেমন বাস চালকদের মধ্যেꦐ সিগন্যাল ভাঙার প্রবণতা কমবে, তেমꦇনি দুর্ঘটনাও কমবে।