একধিক মামলার নিষ্পতি না হওয়া নিয়ে ক্ষোভ ছিলই। এবার ফরেনসিক রিপোর্ট পেতে দেরি হওয়ার অভিযোগ উঠল। এমনকী শহরে কেন্দ্রীয় ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবরেটরিতে কর্মীর অভাব রয়েছে বলে অভিযোগ উঠল। তাই শহরের তিন আদালতে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মামলার শুনানি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আদালত এই বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে পদক্ষেপ করার কথাও বলেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে। কিন্তু তারপরেও পরিস্থিতির তেমন কোনও উন্নতি হয়নি বলেই খবর। এই পরিস্থিতিতে খুন, খুনের চেষ্টা, কোনও বস্তু দিয়ে মারধর করে জখম করা, যৌন হয়রানি–সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মামলায় ফরেনসিক রিপোর্ট যথাসময়ে মিলছে না। তার জেরে বিলম্বিত হচ্ছে মামলা।এই বিষযে প্রবীণ আইনজীবীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলছেন, দেখা গিয়েছে ফরেনসিক রিপোর্ট সঠিক সময় না আসায় কোনও মামলায় সাক্ষ্যপ্রমাণের অভাবে অভিযুক্তরা খালাস পেয়ে গিয়েছে। আলিপুর আদালতে চিকিৎসার অবহেলায় এক তরুণের মৃত্যুর অভিযোগ সংক্রান্ত মামলার শুনানি চলাকালে ফরেনসিক রিপোর্ট পেতে সময় লেগেছিল দীর্ঘ সময়। এমনকী কলকাতা নগর দায়রা, শিয়ালদহ এবং আলিপুর আদালতে রয়েছে কয়েক হাজার পকসো মামলা। যার অধিকাংশ ক্ষেত্রে ফরেনসিক রিপোর্ট বাধ্যতামূলক। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রবীণ আইনজীবী বলেন, ‘এমনও হয়েছে, ফরেনসিক রিপোর্ট আসেনি বলে সেটা ছাড়াই পুলিশ আদালতে চার্জশিট পেশ করেছে। তার বহু পরে ফরেনসিক রিপোর্ট এসেছে।’ এই সমস্যা নিয়ে শিয়ালদহ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি অসীম কুমার বলেন, ‘কলকাতা নগর দায়রা, শিয়ালদহ এবং আলিপুর আদালতে প্রায় শতাধিক মামলা রয়েছে, যেখানে ফরেনসিক রিপোর্টের জন্য আটকে রয়েছে ফয়সালা।’জানা গিয়েছে, একাধিক ঘটনায় পুলিশ যে সিসিটিভির ফুটেজ জোগাড় করে, তার সত্যতা যাচাইয়ের জন্য তা পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়। কিন্তু সে ক্ষেত্রেও রিপোর্ট পেতে বিস্তর সময় লেগে যায়। ফলে ফরেনসিক রিপোর্ট এখন আদালতের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। নিম্ন আদালতের বিচারকরা বারবার এই নিয়ে পদক্ষেপ করতে বলেছেন। কিন্তু তাতে লাভ হয়নি।