ব্রিগেড থেকে জনগর্জন সভায় একধাক্কায়🎀 ৪২টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। জনতার দরবারে দাঁড়িয়ে এভাবে প্রার্থী তালিকা কোনও রাজনৈতিক দল আগে ঘোষণা করেনি। রাজ্য–রাজনীতিতে এমন নজির নেই। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের এই প্রার্থী তালিকা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। বিজেপি এখনও ৪২টি আসনের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করতে পারেনি। প্রথম দফায় যে ২০টি নাম ঘোষণা করা হয়েছে তার মধ্যে থেকে একজনকে তুলে নিতে হয়েছে। সেক্ষেত্রে এখন ২৩ জনের নাম ঘোষণা করতে হবে বিজেপিকে। আবার কংগ্রেস–সিপিএম জোট করে লড়বে কিনা, তার সঙ্গে আইএসএফ যুক্ত হবে কিনা, হলে কতগুলি আসন দিতে হবে তা নিয়ে বিস্তর সমস্যা তৈরি হয়েছে।
এদিকে এখন বাকি রয়েছে সিপিএম–কংগ্রেস ও আইএসএফের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ। সূত্রের খবর, আসন নিয়ে আইএসএফের সঙ্গে আলোচনায় বসেছে সিপিএম। তবে আসন নিয়ে রফা হয়নি। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু ও আইএসএফের রাজ্য সম্পাদক বিশ্বজিৎ মাইতি। তৃণমূল কংগ্রেস একক শক্তিতে লড়াই করার ডাক দিয়ে ৪২টি আসনের প্রার্থী ঘোষণা করে দিয়েছে। তাই আর কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করতে কোনও অসুবিধা নেই সিপিএমের। রাস্তা পরিষ্🅺কার হয়ে গিয়েছে। তাই আজ নয়াদিল্লি রওনা হয়েছেন সিপিএমের রাজ্য স🍷ম্পাদক মহম্মদ সেলিম। পলিটব্যুরো বৈঠকে এই বিষয়টি তুলবেন সেলিম বলে সূত্রের খবর।
আরও পড়ুন: ‘আমি বাংলা বুঝতে প🐈ারি’, বিজেপির বহিরাগত তত্ত্ব খারিজ করলেন কীর্তি আজাদ
অন্যদিকে উলুবেড়িয়ায় এক সভায় বামফ্রন্ট চেয়াম্যান বিমান বসু জানিয়েছিলেন, কংগ্রেসের সঙ্গে তাঁদের জোট এখনও চূড়ান্ত নয়। সম্প্রতি আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে সিপিএম সদর দফতরে বিমান বসুর সঙ্গে বৈঠক করেন আইএসএফের রাজ্য সম্পাদক বিশ্বজিৎ মাইতি। সূত্রের খবর, জোট নিয়ে সমঝোতা চেয়ে এখন ময়⛦দানে নেমে পড়েছে আইএসএফ। এমনকী নওশাদ সিদ্দিকীর দল ৪২টির মধ্যে ১৪টি আসনের জন্য আর্জি জানিয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে— বারাসত, বসিরহাট, উলুবেড়িয়া, জয়নগর–সহ একাধিক লোকসভা কেন্দ্র। সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এবং পঞ্চায়েত নির্বাচনে যে সকল এলাকায় আইএসএফ ভাল ফল করেছে সেই কেন্দ্রগুলিতে আসন চেয়েছিল আইএসএফ। সূত্রের খবর, সিপিএম এই দাবি মেনে নেয়নি।
এছাড়া সিপিএমের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, এতগুলি আসন ছেড়ে দেওয়া তাদের পক্ষে সম্ভব নয়। তবে আইএসএফ ডায়মন্ডহারবার, বালুরঘাট, মুর্শিদাবাদ, মালদার মতো কেন্দ্রগুলিও দাবি করেছে। একদিকে আইএসএফের দাবি করা কেন্দ্রগুলির মধ্যে অনেকগুলি বাম শরিকদের হাতে। অপরদিকে কংগ্রেসের সঙ্গে কথা না বলে আইএসএফ–কে কিছু বলতে চাইছে না সিপি🏅এম। ফলে একটা সমস্যা তৈরি হয়ে রয়েছে। আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘আমরা কোথায় প্রার্থী দিতে ইচ্ছুক তা সিপিএমকে জানিয়েছি। জোটের স্বার্থে আমরা সমঝোতায় যেতে রাজি আছি। ঐক্যবদ্ধ হয়ে তৃণমূল–বিজেপির বিরুদ্ধে লড়ব। আমি একটা প্রস্তাব রেখেছি। সবপক্ষ চিন্তা করে দেখছে।’