প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রাণ বাঁচিয়েছেন জগন্নাথদেব। এমনই দাবি করলেন কলকাতা ইসকনের ভাইস-প্রেসিডেন্ট এবং মুখপাত্র রাধারমণ দাস। তিনি দাবি করেছেন, ১৯৭৬ সালে যখন প্রথমবার আমেরিকার নিউ ইয়র্ক সিটিতে রথযাত্রার পরিকল্পনা করেছিল ইসকন, তখন একাধিক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছিল। রথ তৈরি করতে যে জায়গার প্রয়োজন ছিল, সেটা কিছুতেই পাওয়া যাচ্ছিল না। যেখানেই যাচ্ছিলেন ইসকনের ভক্তরা, সেখান থেকে তাঁদের খালি হাতে ফিরতে হচ্ছিল। শেষপর্যন্ত ট্রাম্প জায়গা দিয়েছিলেন। কোনও টাকা-পয়সাও নেননি। আর তিনি সেইসময় যে কাজটা করেছিলেন, আজ তার প্রতিদান পেলেন বলে দাবি করেছেন কলকাতা ইসকনের ভাইস-প্রেসিডেন্ট এবং মুখপাত্র🦄।
‘রথযাত্রাকে বাঁচিয়েছিলেন ট্রাম্প, এবার তাঁকে বাঁচালেন জগন্নাথদেব’
ট্রাম🎀্পের উপরে হামলার পরে রবিবার সকালে কলকাতা ইসকনের ভাইস-প্রেসিডেন্ট এবং মুখপাত্র বলেন, ‘হ্যাঁ, নিশ্চিতভাবে এটা ঐশ্বরিক হস্তক্ষেপ (ডিভাইন ইন্টারভেনশন)। আজ থেকে ঠিক ৪৮ বছর আগে জগন্নাথ রথযাত্রা উৎসবকে বাঁচিয়েছিলেন ডো🍸নাল্ড ট্রাম্প। আজ যখন পুরো দুনিয়া জগন্নাথ রথযাত্রা উৎসব পালন করছে, তখন ট্রাম্পের উপরে হামলা চালানো হল। তাঁকে বাঁচিয়ে জগন্নাথদেব প্রতিদান ফিরিয়ে দিলেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘১৯৭৬ সালের জুলাইয়ে রথ নির্মাণের জন্য বিনামূল্যে ন🍌িজের জায়গা দিয়ে ইসকনের ভক্তদের রথযাত্রা উদযাপনের সুযোগ করে দিয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। আজ যখন পুরো দুনিয়া নয়দিনের জগন্নাথ রথযাত্রা উৎসব উদযাপন করছে, তখন তাঁর উপরে এই ভয়াবহ হামলা চালানো হল। অল্পের জন্য তাঁর জীবন যে রক্ষা পেল, সেটাই প্রমাণ করছে যে জগন্নাথদেবের কারণে (তিনি বেঁচে গিয়েছেন)।’
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে ট্রাম্পের উপরে হামলা
আগামী ৫ নভেম্বর আমেরিকায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন আছে। তার আগে শনিবার (স্থানীয় সময় অনুযায়ী) পেনিসিলভানিয়াতে▨ জনসভা ছিল ট্রাম্পের। সেখানে তিনি যখন কথা বলছিলেন, তখন তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। তাঁর কানে গুলি লাগে। বরাতজোরে ত🀅াঁর মাথায় সেই গুলি লাগেনি।
ভিডিয়ো ফুটেজে একাধিক গুলি চালানোর শব্দ শোনা গিয়েছে। আর গুলি চালানোর শব্দ পেয়েই ট্রাম্প মাথা নীচু ඣকরে ফেলেন। তারইমধ্যে ট্রাম্পকে ঘিরে ফেলেন আমেরিকার সিক্রেট সার্ভিস এজেন্টরা। তাঁরাই ট্রাম্পকে উঠে দাঁড়াতে সাহায্য করেন। এসকর্ট করে তাঁকে বের নিয়ে যাওয়া হয়। সেইসময় ট্রাম্পের কান থেকে রক্ত ঝরতে দেখা গিয়𝓰েছে।
ট্রাম্পের মুষ্টিবদ্ধ হাত
তারইমধ্যে সিক্রেট সার্ভিস এজেন্টদের সহায়তায় উঠে দাঁড়ানোর পরেই শূন্যে মুষ্টিবদ্ধ হাত তুলে দেখাতে থাকেন ট্রাম্প। আমেরিকার পতাকার সামনেই তাঁর সেই মুষ্টিবদ্ধ হাতের ছবিটা প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে যে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ𒆙, তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। যে নির্বাচনে তাঁর প্রতিপক্ষ (সম্ভবত তিন🤪িই) তথা মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন। আপাতত সুরক্ষিত আছেন ট্রাম্প।