আজই প্রকাশ হয়েছে মাধ্যমিকের ফল। এবারও রাজ্যে পাশের হারে শীর্ষে পূর্ব মেদিনীপুর। অপরদিকে এবার যুগ্ম ভাবে শীর্ষ স্তান অর্জন করেছেন বাঁকুড়া ও বর্ধমাꦅনের দুই ছাত্র। আর গোটা রাজ্যের মেধাতালিকায় চতুর্থ স্থান অর্জন করেন কলকাতার পাঠভবনের ছাত্র শ্রুতর্ষি ত্রিপাঠি। কলকাতার মধ্যে শুতর্ষি প্রথম স্থানে রয়েছেন। তাঁর বাবা শুভঙ্করবাবু কলেজের অধ্যক্ষ। তিনি অকপটে স্বীকার করলেন, ছেলের পড়াশোনায় তাঁর থেকেও তাঁর স্ত্রীর ভূমিকা বেশি ছিল।
সংবাদমাধ্যমকে শ্রুতর্ষির বাবা বলেন, ‘জীবনের সব শখ ভুলে ছেলেকে নিয়েই থেকেছে ওঁর মা। আমরা খুব সাধারণ ভাবে জীবন যাপন করি। আমি সম্ভবত আমার কলেজের একমাত্র অধ্যক্ষ, যে বাসে ট্রামে যাতায়াত করি। আমাদের বাড়ি পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামে। শ্রুতর্ষিꦺ যখন ক্লাস থ্রিতে, তখনই আমাদের বাড়ির টিভি বন্ধ করে দেন আমার স্ত্রী। শর্ত দেওয়া হয়, দ্বাদশে ভালো ফল করার পর তখন আবার বাড়িতে টিভি চালু হবে। বাড়িতে লাইব্রেরি আছে। বিভিন্ন নামী সাহিত্যিকের বই আছে। যখন ছেলে স্কুলের পড়াশোনায় হাঁপিয়ে ওঠে, তখন সেগুলি পড়ে। নেটে পড়াশোনা করে। ছোট থেকেই কম্পিউটার ট্রেনিং শুরু হয়েছে।
শুভঙ্করবাবু বলেন, ‘আমি ফিজিক্স নিয়ে পড়াশোনা করেছিলাম, আর💞 আমার স্ত্রী অঙ্কে এমএসসি। বিজ্ঞানের প্রতি আগ্রহটা আমাদের হাত ধরেই ওর মধ্যে জেগে উঠেছে। ক্লাস থ্রি-তে টিচার্স ডে-তে আইনস্টাইনের বিখ্যাত ইক্যুয়েশন বিশ্লেষণ করে বলেছিল। বুঝে 🍌নিয়ে তারপর বলেছিল। ওর মায়ের জন্য ওঁর অঙ্কের ভিতটা খুব ভালো। ইন্টারনেটেরও বিভিন্ন ধরনের সুবিধা পেয়েছে।’
কৃতী ছাত্রের বাবা আরও বলেন, বোর য়ে গেলে শ্রুতর্ষি গান শোনে। আমার খুব সিনেমা দেখার নেশা ছিল। সেই নেশাটা আমার ছেলের মধ্যে চলে গিয়েছিল। তার জন্যই ক্লাস থ্র⛎ি থেকে টিভি বন্ধ করে দেওয়া হয় বাড়িতে। স্ত্রীর নির্দেশে বাড়িতে টিভি দেখি না। আমার খুব কষ্ট হত, এখন আর হয় না। ছেলের এই রেজাল্টের পর মনে হচ্ছে, ওর মা যেটা করেছিল তা মঙ্গলের জন্যই। এটা করে খুব ভালো হয়েছে। খবরের চ্যানেলের অনুমতি ছিল। কিন্তু, সেটা বাড়ির টিভিতে নয়। ল্যাপটপে বඣা ডেস্কটপে। তাতে সিনেমা দেখার সুযোগটা থাকবে না।’