এসএসকেএমের ৬৭তম প্রতিষ্ঠা দিবসে বক্তব্য রাখতে গিয়ে একেবারে বিস্ফোরক অভিযোগ তুলে দিলেন। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর মুখে একথা শুনে নানা প্রশ্নও উঠতে শুরু করেছে। মমতা এদিন বলেন, অনেকে ভাবেন শুধু টাকা। অনেক হাসপাতাল আছে অনেক টাকা নেয়। তাঁদের শাড়িটা পর্যন্ত ডাক্তারদের কিনতে হয়। এটাও আমি শুনেছি।এমনকী তাদের কমিশনও দিতে হয়। জোর করে পেসমেকার বসাতে হয়। আইসিইউতে প্রয়োজন না থাকলেও ডেডবডি রেখে দেয়। এরকমও অনেক আছে। আবার ভালো হাসপাতালও আছে।যারা ডিটারমিনেশন নিয়ে কাজ করে। যারা হাসপাতালে কাজ করেন তাদের থেকে বড় সমাজসেবক আর নেই। অনেক টাকার প্রয়োজন সবসময় পড়ে না। বলেন মমতা।তবে এসএসকেএম, এম আর বাঙ্গুর সহ একাধিক সরকারি হাসপাতালের প্রশংসা করেন। এর সঙ্গেই মনে করা হচ্ছে মমতা এদিন একাধিক বেসরকারি হাসপাতালকে কাঠগড়়ায় তুললেন।এতদিন সাধারণ মানুষ যে অভিযোগ করতেন সেই কথাটাই যেন উঠে এল মুখ্যমন্ত্রীর কথায়। কিন্তু প্রশ্নটা থেকে গেল এই বেসরকারি হাসপাতালের অনিয়মের বিরুদ্ধে আদৌ কি সরকার কোনও ব্যবস্থা নেয়? নাকি পুরোটাই লোক দেখানো। অনেকের মতে, রোজ এই বেসরকারি হাসপাতালে খপ্পড়ে পড়়ে সর্বস্বান্ত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। নানাভাবে বিপাকে ফেলা হচ্ছে। তাঁদের পাশে সরকার কি আদৌ থাকে ?এর সঙ্গেই সাধারণ মানুষের প্রশ্ন, সরকারি চিকিৎসা ব্যবস্থায় সুফল পেলে আদৌ কি সাধারণ মানুষ বেসরকারি চক্করে যেতেন? সেক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের সুবিধার জন্য কেন সরকারি ব্যবস্থাকে যথাযথ করা হয়না ?এদিকে দিদির দূতেদের ঘিরে বিক্ষোভ প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘি থেকে বলেন, সমস্যা থাকলে নিশ্চয়ই বলবেন সমাধান হবে। কারও কথা শুনে কুৎসা অপপ্রচারে কান দেবেন না। এর সঙ্গেই তিনি বলেন, বিজেপির নেতা নেত্রীরাও তাঁদের আত্মীয়দের নাম আবাসের তালিকায় তুলেছিলেন। আমাদের কাছে সব তথ্য় আছে।এদিকে শাসকদল ইতিমধ্যেই অভিযোগ তুলেছেন কোচবিহারের দিনহাটায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামানিকের বাবার নাম আবাস তালিকায় ছিল। পরে তা বাদ দেওয়ার জন্য় আবেদন করা হয়। মমতা কি সেই কথাকেই সামনে আনলেন?তবে বিরোধীদের দাবি, কোচবিহারের দিনহাটায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামানিকের বাবার নাম আবাস তালিকায় নিয়ে এসে বিজেপিকে অপদস্থ করার চেষ্টা করা হয়েছিল। এর পেছনে তৃণমূলের চক্রান্ত রয়েছে। পালটা অভিযোগ জানিয়েছিল বিজেপি।