কয়েকদিন আগেই বগটুই গণহত্যার বর্ষপূর্তি হয়েছে। সেই সময় গ্রামে শহিদ বেদি নিয়ে রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে ওঠে বিজেপি এবং তৃণমূলের মধ্যে। এই আবহে গতকাল বীরভূমের দলীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলায় শোনা গেল আক্ষেপের সুর। তৃণমূল সুপ্রিমো গতকালকের বৈঠকে বগটুই নিয়ে বলেন, 'ওদের জন্য কী করিনি? চাকরি দিয়েছি। ক্ষতিপূরণ দিয়েছি। সরকারি প্রকল্পে যুক্ত করেছি। তারপরেও অন্য দলের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলছে।' উল্লেখ্য, বগটুইকাণ্ডে নিহতদের পরিবার 'অন্য দলের' সঙ্গে চলছে বলে কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে। এই আবহে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বগটুই শাসকদলের কাছে গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়াতে পারে। কেষ্ট বিহীন বীরভূম জেলয় নিজেদের গড় হাতছাড়া হতে দিতে চায় না তৃণমূল। তবে বগটুই নিয়ে রয়েছে 'চিন্তা'। (আরও পড়ুন: রাজ্যে ডিএ আন্꧂দোলনকারীদের দমাতে এ কী করছে সরকার! হতবাক সব মহল)
জানা গিয়েছে, কাজল শেখকে বগটুই গ্রামে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রসঙ্গত, বীরভূমের বগটুইয়ে গত বছরের ২১ মার্চ আগুনে ঝলসে মৃত্যু হয়েছিল ১০ জনের। সেই ঘটনার একবছর পরও এই নৃশংসতার রেশ কাটেনি। এই আবহে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে এর প্রভাব পড়তে চলেছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। এরই মাঝে বগটুইতে গিয়ে সভা করে এসেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। যেই কারণে মমতার গলায় শোনা গিয়েছে আক্ষেপের সুর। বগটুইতে গিয়ে শুভেন্দু তৃণমূল ও মমতাকে আক্রমণ শানিয়ে বলেছিলেন, 'শাসকদল খুন করল, আবার তা✨রাই শহিদদের স্মরণ করল। অথচ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বগটুইয়ের নিহত সংখ্যালঘুদের নিয়ে নীরব থাকলেন। আমি রাজনীতি করতে এখানে আসিনি। বগটুইয়ে আমরা বিগত নির্বাচনে মাত্র ১৭টি ভোট পেয়েছিলাম। তা সত্ত্বেও 🔴আমি আপনাদের কথা দিচ্ছি যে আগামী দিনেও নিঃস্বার্থভাবে আপনাদের পাশে থাকব। আপনাদের পরিবারের সন্তানদের উচ্চ শিক্ষার দায়িত্ব আমার।' এই আবহে বগটুই দখলে রাখতে কাজল শেখের ওপরই ভরসা রাখছেন মমতা।
আরও পড়ুন: নববর্ষে দ্বিতীয় বন্💮দে ভারত পাবে বাংলা, রেলমন্ত্রীর কাছে বিশেষ আবেদন BJP সাংসদের
এদিকে গরু পাচার🌼 মামলায় এখনও জেলবন্দি অনুব্রত মণ্ডল। তিহাড় জেলে রয়েছেন তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি। তবে শুক্রবার কালীঘাটের বৈঠকের পরও নিজের পদ ধরে রাখলেন অনুব্রত। পাশাপাশি তিনি বীরভূমে দলᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚের একাধিক নেতাকে সতর্ক করেছেন বলে খবর। কোর কমিটি তৈরি করা হলেও দলের জেলা শীর্ষ স্থানে এখনও রয়েছেন অনুব্রতই। এদিকে কাজল শেখ অনুব্রত বিরোধী বলে পরিচিত। তিনি রয়েছেন বীরভূমের কোর কমিটিতে। এই আবহে রাজনৈতিক মহলের অনুমান, ভারসম্যের রাজনীতির দিকেই নজর দিয়েছেন মমতা।