সামনেই পঞ্চায়েত ভোট। আর ভোট এলেই ফের সামনে আসে গঙ্গাভাঙনের প্রসঙ্গ।আর এবার নবান্ন সভাঘরে গঙ্গাভাঙন নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্নের মুখে পড়লেন সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় বঞ্চনা নিয়েও ফের সরব🌌 হন তিন🅷ি।
আসলে সোমবার মুর্শিদাবাদে গঙ্গাভাঙন পরিদর্শনে গিয়েছিলেন সেচমন্ত্রী। সেখানে সেচমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, প্রয়োজনে গঙ্গা ভাঙন রুখতে নিজে থেকেই কাজ করবে রাজ্য সরকার। কিন্তু এখানেই প্রশ্ন ওঠে, একে তো আর্থিক সংকটে জেরবার রাজ্য। তার উপর কীভাবে বিপুল টাকা খরচ করে রাজ্য সরকার একাই ভাঙন প্রতিরো🍃ধে খরচ করবে? তাছাড়া রাজ্য সরকার যদি নিজে থেকে গঙ্গাভাঙন রোধের দায়িত্ব একার ঘাড়ে তুলে নেয় তবে তার ব্যর্থতার দায়ও তো রাজ্য সরকারকেই নিতে হবে। এবার সেচমন্ত্রীর একটি মন্তব্যকে ঘিরে পার্থ ভৌমিককে বকাঝকা করলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী।
বুধবার নবান্ন সভাঘরে মন্ত্রী ও শীর্ষ আমলাদের নিয়ে পর্যালোচনা বৈঠকে বসেছিলেন মুখ্য়মন্ত্রী। সেখানেই তিনি সভার শুরুতেই গঙ্গা ভাঙন রোধে সেচমন্ত্রীর একটি বক্তব্যের প্রসঙ্গ তোলেন। তিনি বলেন, আমি পার্থ ভৌমিকের একটা স্টেটমেন্𓄧ট দেখেছি যে গঙ্গা ভাঙন আমরাই হাতে নিয়ে করব। এটার ব্যাপারে কোনও ক্লিয়ারেন্স তো আসেনি। এদিকে মুখ্যমন্ত্রীর মুখে এই কথা শুনে কিছুটা অস্বস্তিতে পড়ে যান সেচমন্ত্রী। তিনি নানাভাবে সাফাই দেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু তাতে একেবারে সন্তুষ্ট হতে পারেননি মমতা।
মমতা বলেন, বললে লোকের আশা জাগে। তোমরা তো একটা বিবৃতি দিয়েই খালাস। আমি এমনটা করি না। আমার সিস্টেম হচ্ছে আমার কাছে যে টাকা অ্য়াভেলেবল সেটা দিয়েই আমি কর🔯ব। বাড়তি কথা বলব না কাগজের নিউজের জন্য। এর সঙ্গেই মুখ্যমন্ত্রীর সংযোজন কেলেঘাই, কপালেশ্বরীর টাকাও ওরা দেয়নি। ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান আজ ৩০ বছর ধরে পড়ে রয়েছে বার বার বলা হয়েছ𝓀ে। যারা ১০০দিনের কাজের টাকা দেয় না তারা ভগবানগোলা ও মালদহের ভাঙন রুখতে টাকা দেবে ভাবলে কী করে?
তবে এদিন গঙ্গা ভাঙন রুখতে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার কথা উল্লেখ করেন মুখ্যমন্ত্রী। ফরাক্কা ইন্দো বাংলাদেশ চুক্তি হয়েছিল সেই জলচুক্তি অনুসারে আ🙈মরা যে ৭০০ কোটি টাকা পাব সেই টাকা এখনও দেয়নি। আমাকে য💙েটা মনে রাখতে হবে গঙ্গা ভাঙন এভাবে আটকাতে পারবে না। গঙ্গা ভাঙন হতেই থাকবে।