প্রচণ্ড ভয় পেয়েই নবান্নের পথ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কলকাতায় পা রেখে এমনই মন্তব্য করলেন ভারতীয় জনতা যুব মোর্চার সদ্য নির্বাচিত সভাপতি তেজস্বী সূর্য।বৃহস্পতিবার বিজেপির শুব মোর্চার ডাকে নবান্ন অভিযানের আগে অতিমারী পরিস্থিতিতে সামাজিক দূরত্ববিধি-সহ একাধিক স্বাস্থ্যবিধি বজায় রাখার উদ্দেশে নবান্নে পৌঁছনোর সব রাস্তা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য প্রশাসন। জীবাণু দূরীকরণের কারণে ৮ অক্টোবর থেকে দুই দিন নবান্ন বন্ধ রাখারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেই সঙ্গে বিজেপিকে আইন মেনে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করতে চিঠি দেওয়া হয় নবান্ন থেকে। চিঠিতে সুপ্রিম কোর্টের রায় উল্লেখ করে বিজেপিকে জমায়েত না করতে অনুরোধ করে রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতর। সঙ্গে শৃঙ্খলাবদ্ধ ভাবে কর্মসূচি পালনের আবেদনও জানানো হয়। এই প্রেক্ষিতে বুধবার যুবনেতা দাবি করেন, মিছিলের অনুমতি যে মিলবে না, তা তাঁর জানাই ছিল। তবে প্রশাসনের চেষ্টা সত্ত্বেও অভিযান সফল হবে এবং তাতে ৫০,০০০ মানুষ অংশগ্রহণ করবেন।গতকাল রাত ১১টায় সাংবাদিক বৈঠকে তেজস্বী বলেন, ‘মমতা দিদি ভয় পেয়েছেন। শুনলাম তিনি না কি মুখ্যমন্ত্রীর দফতর বন্ধ রাখছেন। এটাই হল বাংলায় আসল পরিবর্তনের ইঙ্গিত এবং তার নেতৃত্বে রয়েছেন রাজ্যের জাতীয়তাবাদী নবীন প্রজন্ম। তাঁদের সমর্থনে রয়েছে গোটা দেশ।’তেজস্বীর দাবি, যুব মোর্চার অভিযান বানচাল করতেই অতিমারীর দোহাই দিয়ে নবান্ন অভিযানের অনুমতি দেওয়া হয়নি। তাঁর যুক্তি, মাত্র দুই দিন আগে কেন্দ্রের কৃষি আইন পাশ করানোর বিরুদ্ধে তৃণমূল নেত্রী নিজে মিছিলের নেতৃত্ব দিয়েছেন। সেই সময় সামাজিক দূরত্ববিধি নিয়ে মাথা ঘামানোর প্রয়োজন হয়নি।তেজস্বীর প্রশ্ন, ‘তা হলে কি বুঝতে হবে যে, তৃণমূলের জন্য আলাদা আইন রয়েছে? মমতাজি ফ্যাসিবাদী সরকারের জীবন্ত উদাহরণ।’সেই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, যুব মোর্চার সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পরে এটাই তাঁর প্রথম প্রতিবাদ মিছিল হতে চলেছে।নবান্ন বন্ধ রাখার সরকারি সিদ্ধান্তে তাঁর দাবি, মমতা মুখ্যমন্ত্রীর আসনে বসার পরেই কার্যত রাজ্য সচিবালয়ে তালা পড়ে গিয়েছে। কাজের দিনে নবান্ন বন্ধ লরাখার সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচনা করেছে বিজেপি নেতৃত্ব। তবেলতা সত্ত্বেও আজ তাঁদের অভিযান সফল হবেই বলে ঘোষণা করেছেন তেজস্বী সূর্য।তাঁর কথায়, ‘সিন্ডিকেট ও কাট মানির এই সরকার ক্ষমতায় থাকার জন্যই রাজ্যে বেকারত্বের হার বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত দুই বছরে বিজেপি যুব মোর্চার কমপক্ষে ২০০ কর্মীকে খুন করেছে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা।’তেজস্বী বলেন, সারা দেশের যুব সম্প্রদায় বাংলার নবীনদের সঙ্গে রয়েছেন। তাঁদের সম্মিলিত শক্তিই তৃণমূলকে ক্ষমতার গদি থেকে হঠাতে সফল হবে।